পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> brや বঙ্গ-গৌরব বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় ১. প্যারীচাঁদ মিত্র (২২৭.১৮১৪-২৩,১১.১৮৮৩) : ডিরোজিওর শিষ্যমণ্ডলীর মধ্যে অন্যতম হিন্দু কলেজের ছাত্র। উনিশ শতকের চিন্তাশীল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একজন। ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক হয়েছিলেন। রাধানাথ শিকদারের সঙ্গে যৌথভাবে মাসিক পত্রিকা’ (১৬ আগস্ট, ১৮৫৪) সম্পাদনা করেন। টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনামে লেখা “আলালের ঘরের দুলাল’ (১৮৫৮) বাংলা উপন্যাসের অগ্রদূত। মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায়’ (১৮৫৯), ‘রামারঞ্জিকা’ (১৮৬০), যৎকিঞ্চিৎ’ (১৮৬৫), অভেদী’ (১৮৭১), প্রভৃতি কয়েকটি কাহিনি রচনা করেন। ২. বঙ্কিমের জন্ম ঃ ১২৪৫ বঙ্গাব্দের ১৩ আষাঢ় (ইং ১৮৩৮ এর ২৬ জুন) মঙ্গলবার রাত ৯টার সময় { ৩. যাদবচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় : বঙ্কিমচন্দ্রের পিতা যাদবচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় ১২০১ বঙ্গাব্দের ১৮ পৌষ (ইং ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে) জন্মগ্রহণ করেন। পূর্বে এঁদের পৈতৃক ভিটে ছিল কোন্নগরের নিকটবতী দেশমুখোয়। এঁদের এক বংশধর মাতামহের সম্পত্তি লাভ করে কঁটালপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। যাদবচন্দ্র ফারসি ও ইংরেজিতে দক্ষতা লাভ করেছিলেন। সরকারি চাকুরি সূত্রে তিনি ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে মেদিনীপুরের ডেপুটি কালেক্টর নিযুক্ত হন। যাদবচন্দ্রের প্রথমা স্ত্রী নিঃসস্তান অবস্থায় মারা গেলে দুৰ্গাদেবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি ছিলেন হুগলির বিখ্যাত পণ্ডিত ভবানীচরণ বিদ্যাভূষণের কন্যা, ইনিই বঙ্কিমের মা। যাদবচন্দ্র ছিলেন গীেরবর্ণ, দীর্ঘকায় বলিষ্ঠ, খড়গনাসা, তীক্ষাবুদ্ধিসম্পন্ন, তেজোদীপ্ত পুরুষ। ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি (১৩ মাঘ ১২৮৭) সােতাশি বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি নিজে সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনী লিখেছিলেন। ৪. জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতা কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় ঃ বঙ্কিমচন্দ্ররা চার ভাই। জ্যেষ্ঠ শ্যামাচরণ, মধাম সঞ্জীবচন্দ্ৰ, তৃতীয় বঙ্কিমচন্দ্র ও চতুর্থ পূৰ্ণচন্দ্র। পূৰ্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বঙ্কিমের ধর্মশিক্ষা” প্রবন্ধে পিতা যাদবচন্দ্র ও তার জ্যেষ্ঠভ্রাতা। কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে অনেক কথা লিখেছেন। সেটি এরূপ “আমাদের জ্যেষ্ঠতাত কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় যাজপুরের নিমকপোক্তানের দারোগা ছিলেন। সেকালে ওইটি একটি লোভনীয় পদ ছিল; কেননা ঐ পদের মর্যাদাও খুব ছিল এবং বেতনও ভাল ছিল। জ্যাঠামহাশয় ঐ স্থানে বহুকাল ছিলেন এবং সে দেশের লোকের নিকট তাহার যথেষ্ট প্রতিপত্তি হইয়াছিল। তিনি সেখানে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। অদ্যাপি উহা কাশীনাথ মন্দির বলিয়া খ্যাত।”....(সূত্র ঃ অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য ঃ বঙ্কিমচন্দ্রজীবনী। আনন্দ পাব, ১৯৯১ । পৃ. ৫৪১) ৫. যাদবচন্দ্রের পুনজীবন লাভ ঃ পূৰ্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তঁর ‘বঙ্কিমচন্দ্রের ধর্মশিক্ষা” প্রবন্ধে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। ৬। রামজয় সরকারের পাঠশালা ৪ পাঠশালার গুরুমশায়ের নাম রামজয় সরকার নয় “রামপ্রাণ সরকার’।