পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য ܦܪܣ ‘ব্রহ্মবাদিন'-এ কি জাতীয় রচনা প্রকাশিত হওয়া উচিত- সে বিষয়ে স্বামীজি এই সালের ১৮ নভেম্বরের একটি চিঠিতে লিখলেন “ব্ৰহ্মবাদিনের প্রত্যেক সংখ্যায় ভক্তি, যোগ ও জ্ঞান সম্বন্ধে কিছু লেখা বেরুনো দরকার। দ্বিতীয়ত লেখার ধাজটা ভারি খটমটে হচ্ছে। একটু যাতে স্বচ্ছ, সরস ও ওজস্বী হয়, তার চেষ্টা করো।” এদিকে ‘ব্ৰহ্মবাদিন”- এ অ্যানি বেশান্তের থিয়োজফির প্রভাব খুব বেড়ে যাওয়ায় তিনি আলসিঙ্গাকে যথেষ্ট তিরস্কার করেন। আলসিঙ্গার প্রয়াণের কয়েক বৎসর পর ১৯১৪ তে ‘ব্ৰহ্মবাদিন” বন্ধ হয়ে যায়। Indian Mirror, July 27, 1895 forfei- “The Main object of the Journal is to propagate the principles of the Vedantic Religion of India and to work towards the improvement of the Social and Moral Conditions of man by steadily holding aloft the sublime and universal ideal of Hinduism.' ১৩. প্রবুদ্ধ ভারত ও তার দুই পর্ব ঃ ব্ৰহ্মবাদিন-এর ভাষা কড়া ছিল বলে স্বামীজি নানাস্থানে উত্মা প্রকাশ করেছেন। আর একটু সহজ করে দ্বিতীয় আর একটি পত্রিকা বার করা যায় কিনা চিন্তাভাবনা শুরু হােল। শঙ্করীপ্রসাদ বসু মন্তব্য করেছেন, “এই পত্রিকা এখন ইংরেজিতে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান মাসিকপত্র এবং অনেকের মতে ভারতবর্ষের ধর্ম ও দর্শন সংক্রান্ত পত্রিকাগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ” (বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ (৫ম), ১৮৯৬ । পৃ. ২৫) এই পত্রিকার ভাবনাটা আলসিঙ্গার মাথায় উঠেছিল। তবে স্বামীজির পত্রাবলি থেকে জানা যায় প্রারম্ভিক পরিকল্পনা করেছিল ডাঃ নানজুন্ডা। রাও। নিউইয়র্ক থেকে ডাঃ রাওকে স্বামীজি লিখছেন ১৪ এপ্রিল, ১৮৯৬ এর একটি চিঠিতে “ছেলেদের জন্য প্রস্তাবিত কাগজে বিষয়ে আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি আছে, এবং তার জন্য আমি যথাসাধ্য সাহায্য করব।.তবে ভাষা ও লেখাগুলো যাতে সহজতর হয় সেদিকে নজর দেবেন। ধরুন, আমাদের সংস্কৃত সাহিত্যে সে সব গল্প ছড়ানো আছে তা সহজবোধ্য ভাষায় আবার লিখে জনপ্রিয় করা দরকার।.গল্পের ভেতর নীতি ও আদর্শ ঢুকিয়ে দেওয়াই হবে এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।” ২৮ অক্টোবর, ১৮৯৬ তে তিনি লিখছেন, “প্রবুদ্ধ ভারতের জন্য একটি গল্প আরম্ভ করেছি। শেষ হলেই পাঠিয়ে দেব।” ‘প্রবুদ্ধ ভারত” নামটি স্বামীজির কাছ থেকে পাওয়া। তিনি ‘প্রবুদ্ধ ভারত' নামে একটি সংঘ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। সেই সংঘ নামটি তিনি পত্রিকার নাম হিসেবে বেছে নিলেন। প্রবুদ্ধ ভারতের প্রসপেকটাস জুন, ১৮৯৬ তে বিভিন্ন পত্রিকায় দিয়ে দেওয়া হয়। জুলাই ১৮৯৬ এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যার প্রকাশ বলে মনে করি। (কারণ অধ্যাপক বসুর প্রবন্ধে কোন মাস থেকে প্রবুদ্ধ ভারত প্রকাশিত হয় তার স্পষ্ট উল্লেখ নেই।) সমকালীন বিভিন্ন ধমীয় পত্রিকা ধমীয় উদারতার কথা বলেছিল। আশ্চর্যের ব্যাপার