পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য Roð সূচী | ১। উদ্বোধনের প্রস্তাবনা—স্বামী বিবেকানন্দী.পূ. ১ ২। রাজযোগ-স্বামী বিবেকানন্দী.পূ. ৮ ৩। পরমহংসদেবের উপদেশ-স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ.পূ ১৬ ৪। শ্ৰীশ্ৰীমুকুন্দমালাস্তোত্রিম-স্বামী রামকৃষ্ণানন্দেনানুবাদিতম, পৃঃ ১৭ ৫। সারদানন্দ স্বামীর বক্তৃতার সারাংশ (রামকৃষ্ণ মিশন সভা)..পৃঃ ২৫ ৬। বিবিধ...পৃঃ ৩২ প্রচ্ছদের ওপরে আরও লেখা ছিল : প্রভৃতি বিষয়ক বাঙ্গালা পাক্ষিক পত্র ও সমালোচনা। অগ্রিম বার্ষিক মূল্য দুই টাকা ডাকমাশুল সমেত। কলিকাতা, শ্যামবাজার স্ট্রট, কম্বুলেটােলা’, নং ১৪ রামচন্দ্র মৈত্রের লেন, উদ্বোধন প্রেস হইতে স্বামী ত্ৰিগুণাতীত কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত। উদ্বোধন এর প্রতিসংখ্যার নগদ মূল্য দুই আনা মাত্র।”. বাংলা গদ্যসাহিত্যে বিবেকানন্দের আবির্ভাব এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করেই। উদ্বোধনে চার বছরে তঁর বহু প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হয়েছিল। উদ্বোধনের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিবেকানন্দের রচনাগুলি। ভাষা ও রচনাশৈলির দিকে দিয়ে বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে এগুলি যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছিল। দশম বর্ষ থেকে উদ্বোধন মাসিক পত্রিকায় পরিবর্তিত হয়। পত্রিকাটি আজ শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। ১৫. পাণিনি ব্যাকরণ-সংস্কৃত ভাষায় বিখ্যাত ব্যাকরণ। পাণিনির রচিত ব্যাকরণ আটটি অধ্যায়ে বিভক্ত বলে অষ্টাধ্যায়ী নামেও পরিচিত। এ যাবৎ পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই অষ্টাধ্যায়ীর মতো সংক্ষিপ্ত অথচ সম্পূর্ণ ব্যাকরণ রচিত হয়নি। বার্তিক, ভাষ্য, বৃত্তি, ও টীকাসমৃদ্ধ পাণিনি ব্যাকরণের পঠন পাঠন ও জনপ্রিয়তা সারাভারতে আজ পর্যন্ত অব্যাহত। ঐতিহাসিকদের মতে র্তার কাল খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০। (ভারত কোষ-৪র্থ, পৃ. ৩৫৩) মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১. চণ্ডীদাস : বাংলাসাহিত্যের চণ্ডীদাস আলোচনা যথেষ্ট বিতর্কিত ব্যাপার। বড়, দ্বিজ, দীন প্রভৃতি নানা চণ্ডীদাসের পরিচয় মেলে। তবে এই নামে বহু পদকর্তার মধ্যে দ্বিজ চণ্ডীদাস ও বড়ু চণ্ডীদাস এ দুজনকে মোটামুটিভাবে চিহ্নিত করা যায়। বসন্তরঞ্জন রায় আবিষ্কৃত শ্ৰীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস আর দেবী বাণ্ডিলীর সেবক রামী রজকিনীর প্রেমিক আর এক চণ্ডীদাসের সঙ্গে আমরা পরিচিত। দ্বিজ, বড়, দীন ও নিছক চণ্ডীদাস ইত্যাদি নানা ভণিতায় কতজন পদকর্তা যে পদরচনা করেছেন তা এখনও অনির্ণীত। ২. কৃত্তিবাস : কৃত্তিবাস ওঝা বাংলা রামায়ণ রচয়িতা হিসেবে প্রসিদ্ধ। ঐতিহাসিকদের মতে কৃত্তিবাসের নামে প্রচলিত রামায়ণ কতটুকু যে কৃত্তিবাসের তা বলা কঠিন। তবে এই কৃত্তিবাস পঞ্চদশ শতকের কোনো এক সময়ে বর্তমান ছিলেন। ৩. কাশীরাম দাস : ইনি সপ্তদশ শতকের কবি। মহাভারত রচয়িতা। ভাগীরথী তীরে