পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NRO Sq वन्द्र-द्धद ইন্দ্ৰাণী পরগনার সিঙ্গিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মূল মহাভারতের ভাবানুবাদ করেন। অনেকের মতে তিনি বিরাটপর্ব পর্যন্ত লিখেছিলেন, শেষ করেছিলেন তার ভাইপো নন্দরাম। আসলে কাশীরাম দাস নামক কোনো একজন ব্যক্তির লেখা মহাভারতের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি, অষ্টাদশ শতকে লেখা বিভিন্ন রচনা মিলেমিশে কাশীরামের নামে এক মহাভারত গড়ে ওঠে। এই মহাভারত প্ৰথম প্রকাশিত হয় ১৮০২ সালে শ্ৰীীরামপুর মিশন থেকে। ৪. ভারতচন্দ্র রায় (১৭১২-১৭৬০) : হাওড়ার পৌঁড়ো অঞ্চলে ব্রাহ্মণ বংশে জন্ম। স্বেচ্ছায় বিবাহ করে ও সম্পত্তির কারণে পিতৃগৃহ ত্যাগ করে বিভিন্ন স্থানে থাকতে হয়। পরে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি নিযুক্ত হন। রাজার আদেশে তিনি অন্নদামঙ্গল” কাব্য রচনা করে রায়গুণাকর উপাধি পান। ৫। রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও “পঞ্জিনী উপাখ্যান” ; রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (৯.১২.১৮২৭-১৩.৫. ১৮৮৭) বর্ধমানের কালনার কাছে বাকুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রঙ্গলালের শিক্ষাদীক্ষা কলকাতায়। অল্প সময়ের জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজে বাংলার অধ্যাপক ছিলেন। পরে ডেপুটি কালেক্টর ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন। রঙ্গলালের শ্ৰেষ্ঠ রচনা ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ (১৮৫৮)। এটি রাজস্থানের ইতিহাস নির্ভর এক বীররসাত্মক কাব্য। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক স্মরণীয় রচনা। ৬ জ্ঞানান্বেষণ ; ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীর মুখপত্র জ্ঞানান্বেষণ (সাপ্তাহিক)। প্রকাশকাল ১৮৩১ এর ১৮ জুন। দক্ষিণানন্দন (পরে দক্ষিণারঞ্জন) মুখোপাধ্যায় নামে সম্পাদক হলেও যাবতীয় সম্পাদকীয় কাজ করতেন গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ । পরে এটির পরিচালনার ভার নেন রসিককৃষ্ণ মল্লিক। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী রামগোপাল ঘোষ এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৮৩৯ সাল নাগাদ রামচন্দ্ৰ মিত্ৰকে পত্রিকাটির পরিচালকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। Kratoři Prstí Šk “A General Priography of Bengal Celebrities" a এ কথা উল্লেখ করেছেন। প্ৰায় দশ বছর চলার পর ১৮৪০ এর নভেম্বর মাসে এটির প্ৰকাশ বন্ধ হয়ে যায়। ৭. হিন্দু কলেজ : ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি প্রধানত ইংরেজি শিক্ষার জন্য কলকাতায় হিন্দু কলেজ স্থাপিত হয়। প্রথম দিকে এটি একটি স্কুল ছিল। এটির দুটি বিভাগ ছিল জুনিয়ার ও সিনিয়ার। প্রথম বিভাগটিকে স্কুল ও দ্বিতীয় বিভাগটিকে কলেজ বলা হত। এর আরো দুটি নাম ছিল অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান কলেজ ও মহাবিদ্যালয়। এই মূল হিন্দু কলেজকে গভর্নমেন্ট কখনও কখনও নেটিভ হিন্দু কলেজ বলতেন। মূলত হিন্দুরা ইংরেজি শিক্ষার জন্য এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানি টানা সাত বছর কোনোরকম সাহায্য করেননি। তবে ডেভিড হেয়ার ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার এডুওয়ার্ড হাইড ইস্ট এটিকে যথেষ্ট সাহায্য দান করেন। পরে এটি সরকারি অনুমোদন লাভ করে। কার্যত ১৮৫৪ সালে ১৫ জুন থেকে প্রেসিডেন্সি কলেজ (সিনিয়ায় বিভাগ) ও হিন্দুস্কুল (জুনিয়ার বিভাগ) রূপলাভ করে। ৮. বিশপস কলেজ : হাওড়ার শিবপুরে এই কলেজটি ছিল। বোটানিক্যাল গার্ডেনের