পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য Soys) পাশে ৬২ বিঘার কিছু বেশি জমি নিয়ে এই কলেজটি তৈরি হয়। তৎকালীন কলকাতার বিশপ। মিঃ মিডলটনের উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান ছাড়াও অক্সফোর্ড ও কেন্ত্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রেসে ছাপা সব বই এর এক এক খণ্ড দান করেছিলেন। ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে এই কলেজের কাজ শুরু হয়। খ্রিস্টান ধর্মযাজক প্রশিক্ষণের কেন্দ্র রূপে এই কলেজটি গড়ে ওঠে। মাত্র কুড়ি জন ছাত্রের লেখাপড়ার ব্যবস্থা ছিল। ধর্মািন্তরিত মধুসূদন এখানে বছর তিনেক পড়েছিলেন। এই কলেজে তিনি ধ্রুপদী ভাষা ও সাহিত্যের যথার্থ স্বাদ পেয়েছিলেন। ৯ রেবেকা ম্যাকটাভিস : মাদ্রাজে ৪৬ টাকা বেতনে মাইকেল মাদ্রাস মেইল অ্যাণ্ড ফিমেইল অরফ্যান অ্যাসাইলাম অ্যাণ্ড বয়েজ ফ্রি ডে স্কুল” এ সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেলেন। ছেলেমেয়ে এক সঙ্গেই পড়তো। মাইকেল এখানেই পান রেবেকাকে ছাত্রী হিসেবে। পরিচয়, প্ৰণয় ও বিয়ে সবই ঘটে যায় ৬ মাস ১৩ দিনের মধ্যেই। ১৮৪৮ সালের ৩১ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। মাইকেলের এই বিবাহ সুখের হয়নি। রেবেকার সঙ্গে তার আইনগত বিচ্ছেদ না ঘটলেও মধুসূদন আর মাদ্রাজ ফিরে যাননি। মাইকেল ও রেবেকার প্রথম কন্যা সন্তান ব্যর্থ ব্ল্যানশ কেনেট (জন্ম ১৮ আগস্ট ১৮৪৯), দ্বিতীয়া কন্যা ফিবি কেনেট (জন্ম মার্চ, ১৮৫১), তৃতীয় সন্তান ও প্রথম পুত্র (জন্ম ১৮৫৩, ২৬ জুলাই) নাম-জৰ্জ জন ম্যাকটাভিস ডাট, চতুর্থ সস্তান ও দ্বিতীয় পুত্র মাইকেল জেমসের ( জন্ম ১৮৫৫ সালের ৯ মার্চ)। ১৮৫৬ সালের ২৮ জানুয়ারি সোমবার সাড়ে ছ। বছরের বড়ো মেয়ে ব্যর্থ, চার বছর দশমাসের ছোটো মেয়ে ফিবি, সাড়ে তিন বছরের বড়ো ছেলে জর্জ আর দশমাসের ছোটো ছেলে মাইকেলকে ছেড়ে চিরদিনের মতো কবি মাদ্রাজ ছেড়ে চলে এলেনকারও সামনে জীবনে আর দাঁড়াতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় পুত্রের মৃত্যু হয় ১৮৫৬ এর ২১ এপ্রিল। মৃত্যু সংবাদ পেয়েও কবি সেখানে যাননি। মাইকেল মাদ্রাজ ত্যাগের সাড়ে ৩৬ বছর পর অর্থাৎ ১৮৯২ সালের ২২ জুলাই রেবেকা যখন ক্ষয় রোগে মারা যান, তখনও চার্চের খাতায় তার নাম লেখা হয়েছে রেবেকা। টমসন ডাট। তিনি বিবাহবন্ধন ত্যাগ করেননি। মাইকেল যাতে আর বিবাহ করতে না পারেন রেবেকা সে জন্য বিবাহ বিচ্ছেদে রাজি হননি। আর কুড়ি বছর আগে প্ৰয়াত হয়েছেন তীর স্বামী মধুসূদন দত্ত। ১০. ক্যাপটিভ লেডি : মধুসূদনের লেখা কাব্য (১৮৪৯)। নভেম্বর মাসের গোড়ায় লেখা শুরু করে ২৫ তারিখে লেখা শেষ করেন। এ কাব্যের পুরো নাম “The Captive Ladie (an Indian tale) in two Cantos." a test PIC's Cic fèsfG জুড়ে face Visions of the past-A fragment. दशग्द्र छुभिकाग्र তিনি লিখেছিলেন, ‘এটি লেখা হয়েছে জীবনের নগ্ন বাস্তবতার মধ্যে অভাব অনটনের মধ্যে লড়াই করে’। এবং এই বইটি তিনি নিজের পয়সায় ছেপেছিলেন। ১১. স্পেকটেটর ; আসল নাম 'বেঙ্গল স্পেকটেটর’ মাসিক পত্রিকা। প্ৰকাশকালএপ্রিল ১৮৪২। স্বনামধন্য রামগোপাল ঘোষ, প্যারীচঁাদ মিত্র প্রভৃতির সহায়তায় ইংরেজি বাংলা দ্বিভাষিক পত্র প্রকাশ করেন। এটি প্রথমে মাসিক পত্ররূপে প্রচারিত হয়েছিল।