পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য RRł অধ্যাপক প্রমথনাথ বিশী ভূদেবের সামাজিক প্ৰবন্ধ সম্পর্কে মস্তুবা করতে গিয়ে বলেছেন, “প্রবন্ধগুলির শ্রেষ্ঠত্ব ভাষার সরলতায়, বক্তব্যের স্পষ্টতায়, তথ্যের নিষ্ঠায়, গতির অপ্ৰমত্ততায়, যুক্তির প্রাবল্য, সহনশীলতায় ও সর্বোপরি শৃঙ্খলা রক্ষায়। এগুলি লেখকের আত্মোপলব্ধি, সামাজিক জ্ঞান, নৈতিক দৃঢ়তা, অকপট জীবনসাধনা, ন্যায়বোধ, দেশপ্ৰেম, স্বজাতিত্ববোধ ও আচারনিষ্ঠার প্রতি শ্ৰদ্ধাভাবকেই প্ৰকাশ করেছে।” ১৩. পারিবারিক প্ৰবন্ধ ৪ প্রকাশ ২০ সেপ্টেম্বর, ১৮৮২৷৷ ১৩১ পূ.। কয়েকটি প্রবন্ধের সংকলন। এগুলিতে ভুদেবের পরিবারিক অভিজ্ঞতার চিহ্ন আছে। ‘বাল্যবিবাহ’ প্রবন্ধে বাল্যবিবাহের দোযগুণ তিনি আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া ভৃত্য প্রতিপালন, গৃহপালিত পশুচর্চা, সস্তানপালন, স্ত্রীশিক্ষা, ধর্মাচরণ সম্পৰ্কীয় নানা প্রসঙ্গ আছে। উনিশ শতকে হিন্দু পরিবারের আদর্শ সংসার বচনার যে চেষ্টা হয়েছিল--এই গ্রন্থে তারই পরিচয় বিবৃত। ১৪. মুকুন্দদেব মুখোপাধ্যায় ঃ আচার্য ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্ৰ মুকুন্দদেব মুখোপাধ্যায়। পিতার ন্যায় শিক্ষানুরাগী ছিলেন। পিতার প্রবর্তিত বিশ্বনাথ ফাণ্ড বা বৃত্তি চালু রেখেছিলেন। পুত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে ‘সোমদেব সৎকর্ম ভাণ্ডার ও ‘গোকুণ্ড” সমিতি স্থাপন করেন। ‘ভূদেব চরিত’ তাঁর অসামান্য গ্রন্থ। মহিলা ঔপন্যাসিক অনুরূপ দেবী র্তার অন্যতমা কন্যা ছিলেন। ১৫. অনুরূপা দেবী ঃ (৯.৯.১৮৮২-১৯.৪.১৯৫৮) ঃ ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের পৌত্রী ও মুকুন্দদেব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা। প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের অন্যতমা নেত্রী। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ও ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক দান করেছিলেন। আবদুল লতিফ ১. লতিফের পূর্বপুরুষগণ ঃ নবাব আবদুল লতিফের আদিপুরুষ খালিজ বিন-ওয়ালিদ মহম্মদের অন্যতম সহচর ও সৈন্যাধ্যক্ষ ছিলেন ও বহুদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ‘ঈশ্বরের তরবারি” নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন। তঁর বংশধরেরা তুরস্ক দেশের বোগদাদ নগরীতে বাস করতেন। এদের মধ্যে শাহ-আইন-উদ্দীন নামক এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম ভারতে এসে দিল্লিতে বসবাস করেন। পণ্ডিত্য ও বদ্যান্যতার জন্য তিনি অতি অধীনস্থ সরকার ফতেহাবাদ চাকলা, ভুষণা প্রভৃতি পরগণায় (এখন ফরিদপুর) বিচারক বা কাজি নিযুক্ত হন। এখানকার সমৃদ্ধিশালী জমিদার মসলজি বয়াজিদের দৌহিত্রী, লস্করদিয়া নিবাসী কুতুবদানিসমন্দের কন্যার পাণিগ্রহণ করেন। এইখানে স্থায়ীভাবে বাস করবেন ভেবে বাদশাহের কাছ থেকে মৌজা সঙ্কসলদিয়ায় ১২ খাদ নিষ্কারভূমি চেয়ে নেন। তঁর মৃত্যুর পর পুত্ৰ কাজি আবদুল ওয়াহাব মৌজা রাজাবেনী নিবাসী সৈয়দ । বাহরামের কন্যাকে বিয়ে করেন ও সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সনদ দ্বারা মৌজা রাজাপুরে ১২ খাদ নিষ্কর জমির অধিকারী হন। নির্জন, দুৰ্গম এই স্থানটির ওয়াহাব নাম দেন “বারখাদিয়া’। ट्-८:ष्ट्र-७४