পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vé बश्न-ीद আর পায়ে তালতলার চটি। এই পোশাকেই তিনি সর্বত্র যাতায়াত করিতেন। বিদ্যাসাগরের চটির যেখানে অসম্মান হইত। তিনি আর কখনও তাহার ত্ৰিসীমানা মাড়াইতেন না। দেশের প্রধান রাজপুরুষেরাও তাঁহার সে বেশের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলিতে পারিতেন না। র্তাহার তেজস্বিতার একটা গল্প বলি। একদিন তিনি প্রিন্সিপাল কার সাহেবের** সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে যান। সাহেব চুরুট মুখে দিয়া স-পাদুকা পদদ্বয় চৌপায়ার উপর তুলিয়া তাহার সঙ্গে কথাবার্তা কহিলেন। ব্যাপারটি বিদ্যাসাগরের মনে রহিল। একদিন কার সাহেব কি কাজে পড়িয়া বিদ্যাসাগরের সহিত দেখা করিতে আসিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর আর চুরুট কোথায় পাইবেন, তিনি তাড়াতাড়ি সাহেবের সম্মুখে চট-পরিহিত চরণ দুইটি চৌপায়ায় তুলিয়া দিয়া আলাপ আরম্ভ করিলেন। সাহেব। এজন্য ভারি চটিয়াছিলেন ; কিন্তু উপরওয়ালারা বিদ্যাসাগরের নিকট সমস্ত শুনিয়া কোন উচ্চবাক্য করেন নাই। কলিকাতায় পড়িবার কালেই তাহার বিবাহ হইয়াছিল। তাহার পত্নীর নাম দিনময়ী দেবী।** গত ১২৯৭ সালের ১০ শ্রাবণ** রাত্রি দুই ঘটিকা আট মিনিটের সময় বাংলাকে অকুল শোক-সাগরে ভাসাইয়া এই আদর্শ বাঙালি সাধনোচিত ধামে প্ৰস্থান করিয়াছিলেন। কবে এই মহাপুরুষের সাধনা প্রত্যেক বঙ্গবাসীর জীবনে সত্য হইয়া উঠিবে ?