বড়দিদির নাম।” “কোথায়?” “এই দেখ, মাধবী দেবী– যাঁর বাড়ী নিলাম হয়েচে।”
এক মুহূর্ত্তে শান্তি অনেক কথা বুঝিল। কহিল, “তাই বুঝি সমস্ত ফিরিয়ে দিতে চাইচ?”
সুরেন্দ্র ঈষৎ হাসিয়া উত্তর দিলেন, “তাই ব’লে নিশ্চয় ফিরিয়ে দেব– সমস্ত– সব!”
মাধবীর কথায় শান্তি একটু দুঃখিত হইয়া পড়িল; ভিতরে বোধ হয়, একটু হিংসার ভাব ছিল! কহিল, “তিনি হয় ত তোমার বড়দিদি নন্। শুধু মাধবী নাম আছে। নামেতেই এই–” “বড়দিদির নামের একটু সম্মান কর্ব না?” “তা কর, কিন্তু তিনি নিজে কিছু জান্তে পার্বেন না।” “তা পার্বেন না– কিন্তু আমি কি অসম্মান কর্তে পারি?” “নাম ত এমন কত লোকের আছে!” “তুমি দুর্গা নাম লিখে তাতে পা দিতে পার?” “ছি! ও-কি কথা? ঠাকুর-দেবতার নাম নিয়ে–”
সুরেন্দ্রনাথ হাসিয়া উঠিলেন, “আচ্ছা, ঠাকুর-দেবতার নাম নাই নিলাম, কিন্তু তোমাকে আমি পাঁচ হাজার টাকা দিতে পারি, যদি একটি কাজ কর্তে পার?”
শান্তি উৎফুল্ল হইয়া কহিল, “কি কাজ?”
দেওয়ালের গায়ে সুরেন্দ্রনাথের একটি ছবি ছিল, সেই দিকে দেখাইয়া দিয়া বলিলেন, “এই ছবিটি যদি–” “কি?” “চারজন ব্রাহ্মণ নিয়ে নদীর তীরে পোড়াতে পার-”
অদূরে বজ্রাঘাত হইলে লোকের যেমন প্রথমে সমস্ত রক্ত নিমেষে সরিয়া যায়, মুখখানা সর্পদষ্ট রোগীর মত নীলবর্ণ হইয়া থাকে,