পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
বত্রিশ সিংহাসন

করিলেন না। পর দিন পুনর্ব্বার তদুপবেশনের বাসনায় তথায় আসিয়া দাঁড়াইলে,

ত্রিলােচনী ত্রয়ােদশ পুত্তলিকা

কহিল, হে নরপতে, বিক্রমাদিত্যের তুল্য যাহার ক্ষমতা তিনিই এই সিংহাসনে বসিবার উপযুক্ত পাত্র। আমি তাহার এক সাহসােদাহরণ কহি শ্রবণ কর। ভােজরাজ বলিলেন হে সুন্দরি আমি বিক্রমাদিত্যের বল ও সাহসের কথা শুনিতে সতত বাসনা করি, অতএব আমাকে তাহা শুনাও। পুত্তলিকা বলিল শুন।

 এক দিবস রাজা বিক্রমাদিত্য অমাত্যগণ সমতিবাহারে অশ্বারােহণে মৃগয়া করিতে গিয়াছিলেন। তাহার সঙ্গে এমত বেগগামী এক এক ঘােটক ছিল তাহারা, একবারে সহস্র সহস্র ক্রোশ পথ অনায়াসে গমন করিতে পারিত। রাজা বনপ্রবেশ করিয়া শীকারীগণকে কহিলেন তােমরা শীকার কর আমি দেখি, যে ব্যক্তি ভাল শীকার করিতে পারিবে তাহাকে পুরস্কার দিব, যে শীকার করিতে না পারিবে সে অপদস্থ হইবে। এই আজ্ঞায় সকলে বাজপক্ষী উড়াইয়া পক্ষীশীকার আরম্ভ করিল, রাজা দেখিতে লাগিলেন। পরে রাজাও এক পক্ষী লক্ষ্য করিয়া স্বয়ং এক বাজ ছাড়িলেন, এবং তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ অশ্বারােহণে এমত বেগে গমন করিলেন যে অল্প ক্ষণের মধ্যে অনেক দূরে গিয়া পড়িলেন। তাঁহার সঙ্গীগণ সঙ্গে যাইতে