পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বত্রিশ সিংহাসন।

করিলেন, পণ্ডিতগণ বেদ পাঠ করিতে লাগিলেন, নর্তকী ও গায়ক গণ নৃত্য গীত করিতে লাগিল, স্তুতিপাঠক গণ তাহার গুণকীর্ত্তন করিতে লাগিল, নানাপ্রকার বাদ্যোদ্যম হইতে লাগিল, এবং রাজৰাটীর মঙ্গলাচরণ ও রাগ রঙ্গ হইতে লাগিল। রাজা নিমন্ত্রিত লোক সকলকে নানাবিধ খাদ্য সামগ্রী ভোজন করাইয়া বৃত্তি ও গ্রাম দান করিলেন, ক্ষুধার্তাদিগকে অন্ন ও অর্থ দান, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র ও অর্থ দান, প্রজাদিগকে বস্ত্রালস্কার নানাপ্রকার দান করিলেন। ইহা ভিন্ন সৈন্য দিগের পুরস্কার ও বেতন বৃদ্ধি ও অমাত্য গণের সম্মান-লুচক কর্ম্ম প্রদান করিলেন। পরে সিংহাসনের চতুর্দিকে তাবৎ লোক দণ্ডায়মান হইয়া জয়ধ্বনি ও রাম নাম করিতে লাগিল। রাজা মনে মনে তুষ্ট হইয়া সিদ্ধিদাতা গণেশ স্মরণ করিয়া সিংহাসনের সম্মুখে গিয়া সিংহা- সনারোহণার্থে দক্ষিণ চরণ উত্তোলন করিলেন।

 রাজা চরণেত্তোলন করিলে পুত্তলিকা সকল হাস্য করিয়া উঠিল। তাহাতে রাজা চমৎকৃত হইয়া মনে মনে কহিলেন এই নির্জীব পুত্তলিকা গণ কি রূপে জীবন বিশিষ্ট হইল। অনন্তর তাহাদের হাস্যে লজ্জা বোধ করিয়া পদ প্রসারণ নিবৃত্তি করিয়া তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন তোমরা কি জন্য হাস্য করিলে, তোমরা কি এমত ভাবিয়াছ যে আমি পরাক্রান্ত ও রাজকুলোদম্ভ নহি, কিম্বা ক্ষত্রিয় কুলে দুৰ্বল ও কাপুরুষ জন্মিআছি, অথবা আমার করস্থ কোন রাজা নাই, আমি