পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭০
বত্রিশ সিংহাসন

কহিলেন মহারাজ আমার কি সাধ্য যে তাহা বর্ণন করি, “স্ত্রিয়াশ্চরিত্রং পুরুষ ভাগ্যং দেবা ন জানন্তি কুততা মনুষ্যাঃ, স্ত্রী লোকের চরিত্র এবং পুরুষের ভাগ্য দেবতারাও জানিতে পারেন না, মনুষ্যের কি সাধ্য। ইহাদের চরিত্র কেবল দেখিলেই প্রত্যয় হইতে পারে, জিহ্বা দ্বারা বর্ণন করাযায় না। রাজা এ কথা শুনিয়া। পণ্ডিতকে কিছু বলিলেন না। তিনি মনে মনে করিলেন ঐ ইঙ্গিতকারী স্ত্রী ও পুরুষ পশ্চাৎ কি করে দেখিতে হইবে।

 অনন্তর দিবাবসান হইলে রাজা কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া সেই দূতকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন যুবতী যে ইঙ্গিত করিল তুমি তাহার তাৎপর্য কি বুঝিয়াছ। সে কহিল মহারাজ আমি তাহা একপ্রকার বুঝিয়াছি, কিন্তু আপনার সম্মুখে কহিতে সংশয় হইতেছে। রাজা বলিলেন চিন্তা নাই, তুমি নিয়ে বল। মহারাজ ঐ যুবতী মস্তক মুক্ত ও বক্ষঃস্থলে হত্যার্পণ করিয়া এই অভিপ্রায় প্রকাশ করিল, অন্ধকার হইলে আমার সঙ্গে সংমিলন হইবে। বণিকপুত্র ঐ কথায়। আপন বক্ষঃস্থলে করার্পণ করিল, তাহার ভাব এই, সেই সময়ে সাক্ষাৎ হইবে। রাজা বলিলেন তাহাদের অভিপ্রায় তুমি যথার্থ বুঝিয়াছ, আমিও নদীতটে থাকিয়া তাহাদের এই অভিসন্ধি অনুভব করিয়াছি। সম্প্রতি তুমি আমাকে সেই নারীর গৃহ দেখাইয়া দাও। এই কথায় দুত রাজাকে সঙ্গে লইয়া তাহার আলয়