পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টাবিংশ পুত্তলিকা।
১৯৩

এক ব্যক্তি পরলোক গমন করিয়াছে, তাহার ভার্য্যা শবদাহনপূর্ব্বক নদীতটে দণ্ডায়মানা বরাদনপরায়ণ। হইয়া এই কথা বলিতেছে, এইক্ষণে পৃথিবীতে আমার আর সহায় সম্পত্তি কিছুই নাই, আমি কি প্রকারে স্বামির শ্রাদ্ধাদি করিয়া শুদ্ধি প্রাপ্ত হইব। এবং কিপ্রকারেই বা উদরান্ন করিয়া জীবনকাল যাপন করিব। রাজা,নারীর এইরূপ অত্যন্ত খেদোক্তি শ্রবণে দয়াদ্রচিত্ত হইয়া, তাহাকে বলিরাজদত্ত রত্ন প্রদানপূর্বক বলিলেন তোমার যে বস্তু অভিলাষ হয়, এই রত্নের স্থানে চাহিলে তৎক্ষণাৎ প্রাপ্ত হইবে। এই কথায় নারী রত্ন লইয়া কৃতকৃতার্থ হইয়া নগরে গমন করিল। রাজাও আপন গৃহে আসিলেন।

 পুত্তলিকা কহিল হে ভোজরাজ, রাজা বিক্রমাদিত্য এই প্রকার সাহসী ও পরোপকারী ছিলেন। তুমি সবার স্বর্গ ভ্রমণ করিয়া আসিলেও, ততুল্য হইতে পারিবে না। অতএব তুমি এই দুরাশা পরিত্যাগ কর। রাজা বিক্রমাদিত্য যে যে অলৌকিক কর্ম্ম করিয়াছিলেন তাহ সমস্ত অবগত হও।

 এই সকল কথাতে সে দিবসের শুভক্ষণ অতীত হইল, রাজা সিংহাসনে বসিতে পারিলেননা। পরদিবস পুনর্ব্বার মন্ত্রীসমভিব্যাহারে সিংহাসন সমীপে আসিয়া উপস্থিত হইলে,