পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৮
বত্রিশ সিংহাসন।

কহিলেন। মন্ত্রী কহিলেন মহারাজ এক্ষণে এই সিংহাসনে উপবেশন না করিয়া, আমার এক নিবেদন শ্রবণ করুন, অদ্য রজনীতে আপনি শুদ্ধাচার হইয়া ভূমিশয্যায় শয়নপূর্বক মনের মধ্যে রাজাকে ধ্যান করিয়া নিদ্রাগত হউন।

 মন্ত্রীর পরামর্শানুসারে রাজা জৈতপাল ভূমিতে শয্যা করিয়া শয়ন করিলেন। নিদ্রাকর্ষণ হইলে স্বপ্ন দেখিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য তাহার সম্মুখে আসিয়া বলিতেছেন, হে বৎস তুমি উজ্জয়িনী ও ধারা নগর পরিত্যাগ করিয়া অবন্তীনগরে গিয়া রাজধানী স্থাপন কর, এবং এই সিংহাসন পৃথিবীগন্ত্রে সমর্পণ কর। রজনী প্রভাতা হইবামাত্র রাজা জৈতপাল গাত্রোধান করিয়া, লোেক দ্বারা মৃত্তিকা খনন পূর্ব্বক এই অপর্ব্ব সিংহাসন প্রােথিত করাইলেন। পরে আপনি অবন্তী নগরে রাজধানী স্থাপনপূর্বক তথায় রাজ্য করিতে লাগিলেন। তাহাতে ধারানগর ও উজ্জয়িনী নগর একবারে লােকশূন্য হইল, কিন্তু অবন্তীনগর, নানাদেশীয় ও নানাজাতীয় লােকে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল।

 পুত্তলিকা কহিল যিনি যে কর্মের যােগ্য নহেন তিনি সে কর্মে প্রবৃত্ত হইলে, কেবল যে কৃতকার্য্যই হইতে পারেন না এমত নহে, তাহাতে পৃথিবীতে অতিশয় অপযশও বিস্তীর্ণ হয়। পূর্ব্বকালের রাজাদিগের এই নিয়ম ছিল, যিনি যে কর্ম্মের যােগ্য তিনি তাহাই করিতেন। বর্তমান কালের বাজাদিগের সে