পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম পুত্তলিকা।
২৩

তাহা না করিলেন, বা, কোন প্রকার অহঙ্কার প্রকাশ করিয়া তাহার প্রতি বিদ্বেষাচরণ করিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য তাহাদিগকে রাজ্যচ্যুত করিয়া ঐ সকল রাজ্য স্বয়ং শাসন করিতে লাগিলেন। এই প্রকারে পৃথিবীর পূৰ্বাবধি পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত তাহার রাজ্য বিস্তৃত হইল, এবং তাবৎ প্রজা সুখে কাল যাপন করিতে লাগিল। দুৰ্বত্ত দস্যগণ তাহার প্রতাপের বশীভূত হইয়া দস্যুবৃত্তি হইতে একবারে নিবৃত্ত হইল। ভ্রমণ কারীগণ অকুতােভয়ে দেশ ভ্রমণ করিতে লাগিলেন, যিনি যেখানে যাইতেন সেই খানেই রাজা বিক্রমাদিত্যের যশােবাদ ও গুণানুবাদ শ্রবণ করিতেন। এবং প্রজাদিগের গৃহ ধন ধান্যে ও আনন্দ রসে পরিপূর্ণ দেখিতেন। কেহ কাহার প্রতি অন্যায় অত্যাচার করিআছে বিক্রমাদিত্যের রাজ্যে এমত কথা কে কখন শ্রবণ করেন নাই।

 এই রূপ রাজ্য বিস্তার করিয়া এক দিবস রাজা বিক্রমাদিত্য সভায় বসিয়া পণ্ডিত গণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার ইচ্ছা, আমার নামে অব্দ প্রচলিত হয়, অতএব তােমরা বিবেচনা করিয়া বল, আমি ইহার যােগ্য কি না। পণ্ডিত গণ বলিলেন মহারাজ আপনার প্রতাপে ত্রিভুবন সশঙ্কিত এবং আপনার শত্রু অথবা তুল্য রাজা কুত্রাপি নাই, অতএব আপনি সর্ব্ব মতে তাহার যােগ্য। রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন অব্দ প্রচলিত করুণার্থ কি কর্ত্তব্য। পণ্ডিতেরা বলিলেন প্রথমতঃ