পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
বত্রিশ সিংহাসন।
৫৮

হইয়া দগ্ধ-কলেবর হইতে লাগিলেন। অবশেষে ঐ উত্তাপে শরীর একবারে দগ্ধ হইয়া অঙ্গার বর্ণ হইল।

 অনন্তর যখন স্তম্ভ রথের সমান উচ্চ হইল তখন সারথি স্তম্ভোপরি দগ্ধ দেহ দর্শন করিয়া, রথ স্থগিত করাতে অশ্বগুলা লম্ফ দিয়া উঠিল। তাহাতে সুর্য্যদেব চেতন প্রাপ্ত হইয়া দেখিলেন স্তম্ভের উপর এক শব পড়িয়া আছে। তদ্দষ্টে বিস্ময়াপন্ন হইয়া কহিলেন একি আশ্চর্য্য, মনুষ্যের এরূপ সাহস কখন হইতে পারেনা, এব্যক্তি দেবতা কিম্বা গন্ধর্ব্ব অথবা তপস্বী হইবেক, যাহা হউক স্তম্ভোপরি এই মৃতদেহ থাকিতে ভােজন করা হইতে পারে না। ইহা কহিয়া রাজার শরীরে অমৃত সেচন করিলেন। তাহাতে রাজা রাম নাম উচ্চারণ পূর্ব্বক গাত্রোত্থান করিলেন, এবং সুর্য্য দেবকে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত পূর্ব্বক করপুটে বলিলেন হে দিবাস্বামিন, আমি কত পুণ্য করিয়াছি যে তাহার ফলে এ শরীর ধারণে আপনার চরণ দর্শন করিলাম। সংসারে সকলেই আপনার দর্শনে ইচ্ছা করেন, কিন্তু যাহার প্রতি আপনি প্রসন্ন হয়েন কেবল সেই ব্যক্তিই আপনাকে দেখিতে পায়। আমার জীবন সার্থক হইল। সূর্য্যদেব জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কে, তােমার নাম কি, তােমাকে দেখিয়া আমার অন্তঃকরণে ত্রাস। জন্মিতেছে। রাজা বলিলেন হে স্বামিন, আমি অম্বাবতী নগরীয় গন্ধর্ব্বসেন রাজার পুত্র, আমার নাম বিক্রমাদিত্য। আমি এক ব্রাহ্মণের স্থানে আপনার কথা