পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে 韃 যেখানটাতে মাছের বঁাধ তার চারিধারে বড় বড় শালগাছ উঁচু হয়ে আকাশকে ঢেকেচে-শুধু অন্ধকার আর, জলপতনধ্বনি আর নির্জনতা আর মনের মধ্যে এক রকমের গা ছম ছম করা ভয়ের বিচিত্র অনুভূতি। মাছের বাঁধ ছেড়ে আরও প্ৰায় দু’রসি গিয়েচি তখন। দু রসি কি তিন রসি, কিন্তু চারিদিকে চেয়ে আমার মনে হোল এ পৃথিবীতে আমি আর এই দুই বন-বিভাগের কৰ্ম্মচারী ছাড়া (দুজনেই মিঃ সিংহ-হরদয়াল সিংহ ও যোগীন্দ্ৰ সিংহ) আর বুঝি কেউ নেই-আফ্রিকার ঘন অরণ্যে নর-খাদক অসভ্য জাতিদেব দেশে যেন এসে আটক পড়ে গিয়েচি। যেমন ঘন বনানী তেমনি ঘন অন্ধকার চারিপাশে । হরদয়াল সিংহ হঠাৎ বল্পেন—এইখানটা একটু সাবধান, রয়েল বেঙ্গল টাইগার এখানকার ওই সুড়িপথটা দিয়ে জল খেতে নামে ঝর্ণায় । জঙ্গলের একপাশ দিয়ে একটুখানি সরু পথরেখা অন্ধকাবেও যেন বিভীষিকার সৃষ্টি করে রেখেচে মনে হোল। বালুম-ত গিয়ে -এবার ফিরলে ভাল হোত না ? বাংলো থেকে প্ৰায় মাইল দেড়েক তো এসে গিয়েছি । ফিরবার পথে আবার সেই হো-মেয়েদের আস্তান । বাঘেব, হাতীর, বুনো ভালুকের দেশেব মেয়ে এরা। দিব্যি সেই অরণ্য মধ্যে দরজাহীন, অর্গলহীন পাতার কুঁড়ের মধ্যে বসে আগুন জ্বালিয়ে রান্নাবান্না করচে। কেউ কেউ কুঁড়ের সামনে বসে চেটাই বুনছে, গল্প করচে, গান করচে । eBDB BB BuBDDBBS STLS BuJS S DDSqKB KuB কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণই খুজে পাওয়া যাচ্ছে না, ছেলেমানুষের মত সম্পূর্ণ অকারণে উচ্ছসিত হাসির প্রবাহ। আমাদের আপ্যায়ন করে বল্লে-জোম পে-জোম পেআমি জিজ্ঞেস করলুম-কি বলে ? --বলচে, ভাত তৈরি-খাও ।