পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& बgत्र-ft প্ৰকৃতিরসিক ব্যক্তি। বল্লেন-এদিকে কখনো আসিনি-ভারি চমৎকার তো ? কি সুন্দর জ্যোৎস্না উঠেচে । সুবোধ বল্লে-আরও আগে চলুন, আরও ভাল দেখবেনএকটু পরে সঞ্জয়-নদীর পুল পার হয়ে আমরা দূরে চক্ৰধরপুরের সাদা সাদা বাড়ী দেখতে পেলাম। ঘাটশিলার বন্ধুটি তাড়াতাড়ি করতে লাগলেন, পাঁচটা বাজবার দেরি নেই, বম্বো-মেল পাওয়া যাবে তো ? চক্ৰধরপুর ষ্টেশনের বাইরে আমরা মোটর থামালুম, বন্ধুটি নেমে (5व्यन् । । মিঃ সিনহা বল্লেন-একটু দুধের যোগাড় করলে হোত। সকাল হোলেই তো চা চাই। দুধ নেই সঙ্গে । সুবোধ বল্লে-শেষ রাত্রে এখানে দুধ পাওয়া যাবে বলে মনে তো হয় না । চেষ্টা করতে পারেন । কিন্তু সুবোধের কথাই ঠিক হোলো। কোথাও দুধ মিললো না চক্ৰধরপুর ষ্টেশনে। আমরা মােটর ছাড়লাম। আরও আধঘণ্টা পরে আমরা দূরে টেবো পাহাড়শ্রেণী দেখতে পেলাম। কেউ কেউ এটাকে সেরাইকেল পাহাড়শ্রেণীও বলে । পাহাড়ের ওপর ঘুরে ঘুরে রাচী-রোড উঠেচে। ওপরে। পাহাড়ে উঠবার কিছু আগে রাস্তার ধারে ইংরিজিতে লেখা আছে ‘‘এখান BBBS S DD S DBDDS SLDBB BBDBBDS STDEBBD DDD SDS বলে । অনেকদিন আগের কথা, তখন আমি এসব দিকে আসিনি। আমাদের এক গ্রামের বৃদ্ধ ভদ্রলোক চক্ৰধরপুরে কি কাজ করতেন। র্তার মুখে শুনেছিলাম চক্ৰধরপুরে রাঁচি-রোডের দৃশ্য অপূর্ব, বিশেষ করে রাস্ত যখন ঘুরে ঘুরে পাহাড়ের ওপর ওঠে। মনে আছে, আমি তঁাকে এ পথের দৃশ্যের কথা খুটিয়ে খুটিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম।