পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে ‰ቻ এই সময় মিঃ সিনহা বাড়ী থেকে ঘড়ি দেখে এসে বল্লেন-রাত তিনটে আমরা সবাই চমকে উঠি । -ठि-म-छे ? -খাটি তিনটে । এক মিনিট কম নয় । --তাইত ! সুবোধ প্ৰস্তাব করলে-তবে আর শুয়ে কি হবে ? আমিও এতে সায় দিলাম। পরেশবাবু বল্লেন-আমারও তাই মত। আমি বল্লাম-আমার একটা প্ৰস্তাব আছে। সবাই বল্লে-কি ? -এখুনি চলুন সবাই বেরুনো যাক এক সঙ্গে। কাল সকালে হিড়নি। ফলসে নিক'পিক করা যাক সবাই মিলে হৈ হৈ করে উঠলো । বেশ ভালো প্ৰস্তাব। পরেশ বাবু বল্লেন-আমারও অনেকদিন ওটা দেখার ইচ্ছে ছিল-তাই চলুন। সুবোধ মোটর বার করতে চলে গেল। আমরা মিঃ সিনহার বাড়ী গিয়ে খাবার জিনিসপত্র গুছিয়ে বেঁধে ছেদে নিলাম। আধ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় চল্লিশ মাইল দূরবর্তী ঘন অরণ্য মধ্যে অবস্থিত হিড়নি জলপ্রপাতের কাছে বনভোজন করবার সব আয়োজন ঠিক করে 6भाद्र (छष्ट्र निलाभ । আমাদের সঙ্গে একজন বন্ধু ছিলেন, তিনি কেবল বল্লেন-আমার আজ যাওয়া হবে না । ঘাটশিলায় ফিরতে হবে, আমাকে দয়া করে চক্ৰধরপুরে বম্বো-মেল ধরিয়ে দেবেন এখন রাত চারটে । চক্ৰধরপুর মাইল ষোলো আঠারো রাস্তা। আমরা জ্যোৎস্নালোকিত রাচী-রোড দিয়ে রোরো নদীর পুল পার হয়ে সবেগে মোটর ছুটিয়ে দিয়েচি । দুধারে ছোট বড় পাহাড়, বর্ষায় বনানী সবুজ হয়ে উঠেচে, জ্যোৎস্না পড়েচে পাহাড়ী নদীর জলে, মাঝে মাঝে দু একটা হো-অধিবাসীদের বন্যগ্রাম। পরেশবাবু