পাতা:বন্ধক সম্পর্কীয় পুস্তক.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৭ ৬ ) হইবে ও সুদ পরিশোধ হইয়। যাহ অবশিষ্ট থাকিবে তদ্ধার আসল পরিশোধ হইবে : 1 . . আবদ্ধ ভূমির উপস্বত্ব হইতে সূদ পরিশোধ হইৰাঁর শর্ভ দ্বারা ১৮৫৫ সালের ২৮ আইননুসারে উভয় পক্ষই আবদ্ধ হইবেন । উক্ত আইন জারী হইবার পর যে হারে উভয় পক্ষ সুদের বিষয় চুক্তি করবেন সেই হারেই হিসাব হইবে ; কিম্বা যদি সুদের কোন নিরিখ চুক্তিতে স্পষ্ট না থাকে তাহ হইলে আদালত চুক্তি দেপিয়া ষে নিরিখ উত্তম বিবেচনা করেন সেই নিরিখ অনুসারে সুদ দিবেন । * - বন্ধকগ্রহীতাকে আবদ্ধ ভূমির উপস্বত্বেরও তজ্জন্য যে ব্যয় হইয়াছে তাহার হিসাব দিতে হইবে ও এই হিসাব দিতে তিনি আবদ্ধ । এই হিসাবে সমুদয় উত্তমরূপে থাকিবে ও ভঁাহার দখলের সময়ের উপস্বত্বের কেবল এক খসড়া হিসাব স্বারা জজ সাহেবের সন্তুষ্ট হওয়া উচিত নহে + । বন্ধকগ্রহীতা আপন অধিকারের সময় যাহণ প্রকৃত প্রস্তাবে পাইয়াছেন তাহার হিসাব দিবেন ; ১৭৯৮ সালের ১ আইনের ৩ ধারানুসারে জমা ওয়াসীল বাকি কাগজ ইত্যাদিকে যথেষ্ঠ প্রমাণ বল। যাইবে না । কিন্তু এই সকল কাগজ অন্যান্য প্রমাণেব পোষক প্রমাণ হইতে পারে। হালে এক মোকদমায় আদালত কহিয়াছেন যে জমা ওয়াসিল বাকি কাগজ হিসাব স্বরূপ গণ্য হইবে মা । তহসিলদার তাহার মনিব অর্থাৎ বন্ধকগ্রহীতার জ্ঞাপনাথ ষে হিসাব দিয়াছে তাহ আবশ্যক নহে। আদালত যে হিসাব চাহেন তাহ বন্ধক গ্রহীতা কর্তৃক স্বাক্ষরীত ও প্রমাণ হওয়া আবশ্যক । জম। ওয়াসিলবাকি কাগজ ইত্যাদিকে পোষক প্রমাণ কহিয়া আদালত আরও কহেন যে বন্ধক গ্রহীতাকে ঐ হিসাবে দেখাইতে হইবে যে তিনি কি আদায় করিয়াছেন ও কোন সময়ে ও আবদ্ধ ভূমির কোন অংশ হইতে আদায় করিয়াছেন আর কতইবা বাকি আছে । এজমালি সম্পত্তির এক শরীকদর তাহার অংশ বন্ধক দিয়াছিল। ঐ সম্পত্তির কৰ্ম্ম তাবৎ শরীকের কৰ্ম্মচারীর দ্বারা আঞ্জাম হইত। বন্ধকগ্রহীত। ঃ সঃ দেঃ আঃ ১৮৫৩ সা-লর ৪৬৪ পৃঃ । * ১৮৫৫ সালের ২৮ আইনের ৪ ও ৬ ধারা। + উঃ পঃ আঃ ৫ বালম ২৪১ পূঃ •