পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ܢ কবরের দেশে দিন পািনর- মুসলমানের কাইরো দুর্গের পশ্চিমকোণ হইতে পূর্বদিকে তাকাইয়া দেখি বালুকাময় প্ৰস্তরপূর্ণ শৈলমালা দণ্ডায়মান। তাহার পাদদেশেই এই দুৰ্গ । পাহাড়ের উপর সমতলক্ষেত্র বা টেবলল্যাণ্ড । তাহাতেও একটা দুৰ্গ। পাহাড়ের পৃষ্ঠদেশে কিঞ্চিৎ দূরে একটা মসজিদ। ইহা অতি পুরাতন । এই পর্বতে বাইবেলবিখ্যাত মকা ওমা শৈল । এখানে নোয়ার জাহাজ জলপ্লাবনের সময়ে ঠেকিয়াছিল। মিশরের বহু স্থানের সঙ্গে প্ৰাচীন খ্ৰীষ্টানধৰ্ম্ম, সমাজ ও ইতিহাসের অনেক কথা বিজড়িত । মিশর খ্ৰীষ্টানদিগের তীর্থক্ষেত্ৰ । পশ্চিমকোণে দাড়াইয়া আবার পশ্চিমদিকে দৃষ্টিপাত করিলাম । যতদূর দেখা যায় দেখিতে লাগিলাম। নাইল নদের উভয়কূলে নগর পল্লী উদ্যান প্ৰান্তর। মিশরের এই ভূমি ধনধান্য পুষ্পেভরা, সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা । মধ্যভাগে নদী, দুইধারে জনপদ ও লোকাবাসপূর্বে আরব দেশীয় মোকাতাস পর্বত ও মরুভূমি, পশ্চিমে আফ্রিকার লীবীয় পর্বতশ্রেণী ও মরুভূমি । এই দুই পর্বতমালা পূর্ব ও পশ্চিম প্ৰাচী বেব ন্যায় মিশরের উর্বরভূমিকে রক্ষা করিতেছে । এই ভূমির উপরই যুগে যুগে মানবসভ্যতার বিকাশ সাধিত হইয়াছে । পশ্চিম দিকে দেখিলাম—সম্মুখেই কাইরো নগরের অতি সন্নিকটে তিনটি পিরামিড বা ত্রিকোণাস্তম্ভ । এই জনপদের নাম গীজ । কিয়দারে, দক্ষিণে, নাইলের পশ্চিমে আরও কতকগুলি পিরামিড দেখিতে পাইলাম । এই স্থানে উর্বরক্ষেত্রের শস্যসম্পদও দেখা গেল । ঐ জনপদের নাম সক্কার। এই খানেই প্ৰাচীন মেমফিস নগর । গ্ৰীক ও মিশরীয় ইতিহাসে এই স্থান অতি প্ৰসিদ্ধ। এই স্থানের বুষ্যবাহন “তা” দেবতা সূৰ্য্যদেবের ন্যায় প্ৰাচীন মিশরের প্রধান দেবতা । কুতুবমিনারের শিরোভাগে দাড়াইয়া দিল্লীর নবীন প্রাচীন জনপদ।--