পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান জগৎ আর একটা ভুল বিশ্বাস আমাদের মাথায় ঢুকিয়াছে। কথায় কথায় আমরা শুনিতাম-ইউরোপীয়ের অত্যন্ত শৃঙ্খলাপ্রিয়,-তাহারা বেশ প্ৰণালীবদ্ধরূপে কাজ করে । সত্য কথা,-ইহারা ভারতবাসীর মতই মানুষ-কুলীগিরি, খালাশীগিরি, কেরাণীগিরি-ইত্যাদি নিম্নশ্রেণীর কাজগুলি ইহারা আমাদের লোকজন অপেক্ষা বিশেষ ভাল রকম সমাধা করে না। অসাধুতা, অসত্যপ্রিয়তা, অবাধ্যতা, ইত্যাদি সকল দোষই ইহাদের আছে। ফাকী দিতে পারিলে কেহ ছাড়ে না-এবং ঘুশ ও বকশিষ পাইলে ইহার করিতে পারে না। এমন কাজ নাই। জাহাজ চলিতেছে-পদ্মাবক্ষে ষ্টীমার যেরূপ চলে প্ৰায় সেইরূপই চলিতেছে। বিশেষত্ব কিছুই বুঝা যাইতেছে না । ঢেউগুলি ততবেশী uBBDBBYBBD BB S BBBB BDDBDL DBDD DDD DD LBD DDS S DDBD বেশী ওলট পালট হইতেছে না । বোধ হয় প্ৰথম শ্রেণীর যাত্রীরা যে অংশে থাকে সেই অংশে ঢেউ এর ফল বেশী ভোগ করিতে হয় না । সম্মুখ ভাগ এবং পশ্চাৎ ভাগ সর্বদা উঠে বসে-ইহাকে পিচত “pitch” বলে । ইহার প্রভাবেই লোকের গা বোমি বোমি করে-seasickness বা সমুদ্র-পীড়া হয় । কিন্তু মধ্যভাগ প্ৰায় স্থির থাকে- এই অংশেই প্ৰথম শ্রেণীর কামরাগুলি এবং বেড়াইবার ও বসিবার স্থান । “এজন্য এখানকার লোকদিগের কষ্ট বেশী হয় না । জাহাজ কেবল সামান্য মাত্র rolling বা “এ পাশ ও পাশ” নড়া। ভোগ করিতে হয় । বড় বড় নৌকায় চড়িয়া নদীতে গেলে এই গতি বুঝিতে পারা যায়। আকার্শে চাদ উঠিয়াছে-নৈশভোজনের পর সকলে যার যার কামরায় আশ্ৰয় লইলেন । ঘোরতর নিস্তব্ধতা ভেদ করিয়া জাহাজ স্বীয় পথে চলিতে লাগিল-জলের কল কল ধবনি শুনিতে শুনিতে ঘুমাইয়া পড়িলাম।