পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশ যাত্রার সরঞ্জাম ব্যবসায়ী ব্যারিষ্টার মহাশয়ের নিকট বিলাতী, ফরাসী ও জাৰ্ম্মাণ জাহাজ কোম্পানীগুলির অভদ্রতাচরণের গল্প শুনিলাম। কলিকাতা এবং বোম্বাই প্ৰভৃতি সহরে যে সকল ব্যাংকিং কোম্পানী বিদেশ - যাত্রীদিগের যাতায়াতের ব্যবস্থা করিবার ভার লয় তাহারা “স পাপিষ্ঠস্ততোহধিকঃ ।” কুক কোম্পানী, গ্রিণ্ডলে কোম্পানী, কিং কোস্থানী—প্রায় সকল ব্যাঙ্ক ওয়ালারাই অসাধু। ভারতবাসীদিগের সঙ্গে ইত্যারা কখনই ভাল ব্যবহার করে না-বেশী পয়সা আদায় করিয়া খারাপ ব্যবস্থা করিয়া থাকে । ইহাদের সাহায্য না লইয়াই টিকেট কেন এবং জাহাজ বা রেল ভাড়া করা ভাল । তবে টাকা জমা রাখিবার জন্য কোন না কোন ব্যাঙ্কের সাহায্য লওয়া যাইতে পারে। না লইলেও ক্ষতি নাই । দেখিয়া শুনিয়া বুঝিলাম-জাহাজে পোষাক পরিচ্ছদের কোন বিশেষ আয়োজন না করিলেও চলে। পাশীরা স্বজাতীয় পোষাকে চলিয়াছেনহিন্দুস্থানীরা গলার বোতাম লাগান কোট ও পায়জামা ব্যবহার করি।- তেছেন। বাঙ্গালী পণ্ডিতটি চৌগা চাপিকান ছাড়িয়া এক মুহুৰ্ত্তও থাকেন না। মুসলমানেরা আলখাল্লা পরিয়াই আছেন। কাহার ও মাথায় পাগড়ী, কাহারও মাথায় গুজরাতী টুপি ইত্যাদি। প্ৰথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্ৰেণী, তৃতীয় শ্রেণী, চতুর্থ শ্রেণী—কোন শ্রেণীতেই পোষাক পরিচ্ছদের জন্য মাথা ঘামাইবার প্রয়োজন নাই । যাহাত্ম যেরূপ ইচ্ছা সে সেইরূপ করিতে পারে । কামরার ভিতরে দিনে থাকা অসম্ভাব-অত্যন্ত গরম-অতি সামান্য মাত্র বাতাস আসে। প্ৰথম শ্রেণীর কামরাও এবিষয়ে বিশেষ ভাল নয় ।