পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-জগতের সর্বপুরাতন রাষ্ট্রকেন্দ্ৰ ১০৫ মুসলমানী সৌধমালার দ্বারা সমগ্ৰ মিশর-রাজ্যে একটানা একঘেয়ে দৃশ্যও कश ग्रुछे श्घ्र नाश् । তারপর প্রাচীনতম যুগের কথা—৫০ ০০ বৎসর পূৰ্ব্বেকার কাহিনী। তাহাতে মিশরের সর্ববনিম্ন স্তর রচনা করিয়াছে। তাহার স্মৃতি মধ্যযুগের এবং আধুনিক মিশরের সকল কাজ কৰ্ম্মের সঙ্গে নৃনাধিক বিজড়িত। তাহা আর এক্ষণে সজীব নাই—তাহার আদর্শে আর আধুনিক মিশরবাসীর জীবনযাত্ৰা নিয়ন্ত্রিত হয় না। সে ধৰ্ম্ম, সে চিত্ৰকলা, সে ভাস্কৰ্য্য, সে কবর, সে ‘ফ্যারাও’ সম্রাট আর নাই । কিন্তু পর্বতশ্রেণীদ্বয়ের পাদদেশে নাইলনদের কিঞ্চিৎ দূরে সেই সুগের স্মৃতিচিহ্ন উত্তরদক্ষিণে অসংখ্য রহিয়াছে। পিরামিডু, ওবেলিঙ্ক, মস্তাবা, মন্দির, প্রাচীর ইত্যাদিতে মিশরদেশ পরিপূর্ণ। এই জন্য থীবৃন্স দেখিলেই মেমফিস দেখা হইল, মেমফিস দেখিলেই খ্ৰীবত্স দেখা হইল। দক্ষিণ মিশরকে উচ্চতর মিশর বলে । উত্তর মিশরকে নিম্নতর মিশর বা বদ্বীপ বলে । মিশর রাজ্যের এই দুই বিভাগ ৬০ ০০ বৎসর হইতে চলিয়া আসিতেছে। স্বয়ং প্ৰকৃতিদেবী মিশরদেশকে এই দুই অংশে বিভক্ত করিয়াছেন। আধুনিক কাইরে ও হেলিয়োপলিস-নগরের নিকটবৰ্ত্তী স্থান এই দুই বিভাগের সঙ্গমস্থল প্ৰাচীন মেমফিস-ব্যাবিলন-সুৰ্য্যনগর ও এই সঙ্গমস্থলেই প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছিল । আমরা সাক্কার ছাড়াইয়া উচ্চতর মিশরের ভিতর দিয়া অগ্রসর হইতে লাগিলাম । দেখিবার নূতন কিছুই আর নাই। এই অঞ্চলে ইক্ষুর চাষ প্ৰধান-উত্তর অঞ্চলে বা বদ্বীপে তুলার চাষ প্ৰধান, এই যা প্ৰভেদ। এই অঞ্চলে কতকগুলি চিনির কল আছে। পূর্বে এই-- সমুদয় খেদিভের সম্পত্তি ছিল ; এক্ষণে সবই বিদেশীয় বণিকগণের সম্পত্তি । স্থানে স্থানে বাষ্প-চালিত এঞ্জিনের সাহায্যে চাষ হইতেছে