পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्य বৰ্ত্তমান জগৎ “ডিজাইন’ ইত্যাদির সম্মুখে লইয়া যাইয়া এই সমুদয়ের বিশেষত্ব বুঝাইতে লাগিলেন । ইহঁর শিক্ষা প্ৰণালী সম্বন্ধে অনেকক্ষণ কথাবাৰ্ত্ত হইল । ইনি বলিলেন, “আমি যখন প্ৰথম এই কাৰ্য্য গ্ৰহণ করি, আমাকে নানা লোকে নানা উপদেশ দিতে আসিয়াছিলেন । কেহ বলিতেন, ‘গ্ৰীক-রীতি অবলম্বন কর।” কেহ বলিতেন, “মুসলমানী কায়দার নকল শিখাও।” কেহ_বুদ্ধিসতেন, ‘প্ৰাচীন মিশর হইতে শিক্ষার উপকরণ গ্ৰহণ কর।” ዖ k আমি কাহারও পরামর্শে টলি নাই । আমি সকলকে বলিতাম, “না, Ν কোন রীতিরই নকল করিব না । আমার ছাত্রেরা কোন আদর্শ, কীয়দা, ছাঁচ বা রীতিই দাসের মত অনুসরণ করিবে না । তাহাদের নিজ মাথায় যাহা আসে। আমি তাহাদিগকে তাহাই শিখাইব । স্বকীয় কল্পনাশক্তি, স্বকীয় উদ্ভাবনীশক্তি, স্বকীয় চিন্তাশক্তির পুষ্টিসাধনই আমি পছন্দ করি ।” ফুল, ফল, লতা, পাতা, অলঙ্কার, মুক্তি, বৰ্ণ-সমাবেশ, সবই তিনি এই উপায়ে ছাত্ৰাদিগকে শিখাইয়াছেন। কোন ফন্মুলা বা বাধাগৎ তাহার ছাত্রের শিখে নাই । স্বয়ং প্ৰকৃতি এবং নিজ নিজ সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান তাহাদের শিক্ষকরূপে বৰ্ত্তমান রহিয়াছে ; এবং মিশরের লোকজন, কৃষি, শিল্প, উদ্ভিদ, ব্যবসায় ইত্যাদি তাহাদের আলোচ্য বিষয় দেখিতে পাইলাম । প্যারিস-মৃত্তিকা-নিৰ্ম্মিত কতকগুলি মূৰ্ত্তি দেখা দেল । এই সমুদয়ের মুখমণ্ডলে হৃদয়ের ভাব বেশ প্ৰকাশিত হইয়াছে। মূৰ্ত্তিীগঠনে মুসলমান যুবকেরা সত্যই কৃতিত্ব অর্জন করিয়াছে বুঝিতে পারিলাম ; ফরাসী অধ্যক্ষ মহাশয়কে অত্যন্ত উৎসাহশীল এবং কৰ্ম্মঠ 6 হইল। তিনি শিল্পজগতে মিশরীয় মুসলমান-যুবকগণের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে