చీళి দ্বিতীয় সৰ্গ । ভূধরের শিখরদেশে এক অপূর্ব দেবমন্দির প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। যখন তিনি পৰ্ব্বতের সমধিক নিকটবৰ্ত্তী হইলেন, তখন মন্দির আরোহণার্থ অচল-সংলগ্ন এক সোপানাবলী অবলোকনান্তর পরম কৌতুহলা ক্রান্ত হইয় অশ্বপৃষ্ঠে কশাঘাত করিলেন ; অশ্ব নক্ষত্ৰবেগে ক্ষণকালের মধ্যে র্তাহাকে পৰ্ব্বতের অধিত্যক{-প্রদেশে উপস্থিত করিল। দেখিলেন পৰ্ব্বতোপরি মন্দিরের নিকটস্থ এক প্রকাণ্ড বৃক্ষের তলদেশে, বৃহৎ বৃষভ দণ্ডায়মান রহিয়াছে। তিনি সেই স্থানে তুরঙ্গ হইতে অবরোহণ করিয়া, অশ্বের বল্প-ধারণপূর্বক তাহাকে বৃক্ষের প্রশাখায় বন্ধন করি লেন, এবং স্বয়ং মন্দিরস্থ দেব উদ্দেশে প্রস্থান করিলেন । এইরূপে নৃপ-নন্দন অশ্বকে আবদ্ধ করিয়া প্রথমতঃ দেবের নাট্য-মন্দিরে উপস্থিত হইলেন, এবং তাহার অশ্রুতপূৰ্ব্ব চিন্তচমৎকারিণী ও মনোহারিণী শোভাপরম্পরা সন্দর্শনান্তর যার পর নাই বিস্ময়ান্বিত হইয়। ভূয়িষ্ঠ প্রশংসাকরত কহিতে লাগিলেন, আমি এতাদৃশ কৌশলময় প্রাসাদ জন্মাবধি কখন দৃষ্টিগোচর করি নাই; ইহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য যে সমুদয় রত্নাদি দ্বারা সমাধা হইয়াছে, বোধ হয় বস্থদ্ধরান্থ যাবতীয় নৃপতিগণের কোষাগার একত্র মিলিত করিলে কদাচ ইহার মূল্যের সহিত তুলন। হইতে পারে না । যাহাহউক তিনি এই রূপে মন্দিরের নানাস্থান পরিভ্রমণ করিতে করিতে, এক প্রকাণ্ড হেমময়ৰণ্টাবলোকনে পরম পুলকিতচিত্তে তাছা বাদনার্থ, তৎসংলগ্ন স্বর্ণশ্বস্থাল ধারণপূর্বক আকর্ষণ
