পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্ত কুমারী। చి: করিলেন ; সেই ঘণ্টার ভীষণ নিনাদ শ্রবণ করিয়া, মন্দিরাভ্যন্তর হইতে এক পরমরূপবতী কামিনী বহির্গত। হইলেন। নৃপনন্দন, তাহার তলৌকিকরূপরাশি-সন্দশনে তাহাকে বনাধিষ্ঠাত্রী বিবেচনা করিয়া, করপুটে পাতিতজালুতে কহিলেন বনদেবতে ! অবিশ্রান্ত পরিভ্রমণ করিয়া যার পর নাই ক্লিষ্ট হইয়াছি; ক্ষুধানলে সৰ্ব্বশরীর দগ্ধীভূত হইতেছে, জীবন-দীপ নির্বাণোন্মুখ হইয়াছে, কৃতান্ত নিকটবৰ্ত্তী ও প্রাণ বিয়োগের আর মুহর্ভাধিক সময় অবশিষ্ট আছে ; অতএব দেবি । সামুকম্পা পুরঃসর ক্ষুধা নিবৃত্তি করিয়! আমাকে মৃত্যুর ভীষণ করালগ্রাস হইতে বিমুক্ত করুন। নতুবা এই মুহৰ্ত্তে তামি তাহার করাল-কবলে কবলিত হইব । এই বলিয়া তিনি মৌনাবলম্বন করিলেন। বনদেবতা বসন্তসেনের এই প্রকার কাকুতি মিনতি শ্রবণে স্নেহাদ্র চিত্তে র্তাহাকে সমভিব্যাহারে লইয়া মন্দির মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তিনি দেখিলেন মন্দিরাভ্য স্তরে এক হেমময় সিংহাসনে অপূর্ব শিবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত রহি য়াছে। কুমার গাঢ় ভক্তিযোগ সহকারে সেই দেবদেব মহাদেবকে প্রণাম করিয়া, মন্দিরের এক পাশ্বে কুশাসন বিন্যস্ত করিয়৷ তদুপরি আসীন হইলেন, এবং কিঞ্চিৎ ভোজনীয় দ্রব্যের নিমিত্ত প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । তৎপরে সেই বনদেবতা, স্যোতে আবরণীকৃত করণ্ডিকা র্তাহার সম্মুখদেশে সংস্থাপিত করিলে পর, নৃপকুমার র্তাহার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া স্যোত নিৰ্ম্মোচন পূৰ্ব্বক