পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী। 8 ○ কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। বিধাতা সেই পুরুষবরকে আমার সংহারের হেতু করিয়া স্বষ্টি করিয়াছেন, তাহ না হইলে তাহাকে সন্দর্শন করিয়া আমার মন এত অধীর হইবে কেন ? ইন্দ্রিয় সকল ক্রমে ক্রমে অনায়ত্ত হইয়া পড়িতেছে ; মন সেইদিকে ধাবিত হইয়াছে, চক্ষু বারম্বার সেই অপূৰ্ব্ব রূপ দৰ্শন করিতেছে, পাণি র্তাহাকে অর্পণ করিবার নিমিত্ত উত্তোলিত হইতেছে, সেই হৃদয়-বল্লভ কোথায় ? কোন স্থানে তাহার দর্শন পাইব, কাহাকে দেখিয়া আমার মন তৃপ্তিলাভ করিবে ? ইত্যাদি নানাবিধ কাতরোক্তি সহকারে বিলাপ করিতে লাগিলেন । চন্দ্রমাণ প্রভৃতি রাজতনয়ার সহচরীবর্গ তাহার এইরূপ দশাবলোকনে, বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া কহিতে লাগিলেন কি আশ্চৰ্য্য ! যিনি আমাদিগকে পরপুরুষ সমভিব্যাহারে কথোপকথনে প্রবৃত্ত হইতে দেখিলে, যথোচিত ভৎসনা করিয়া সছুপদেশ দ্বারা চিত্তরভিকে পরিশুদ্ধ রাখিতেন, তাহার এ কি দশা হইল। হায় ! দুরাত্মা মন্মথের কিছুই অসাধ্য নাই। রে অজ্ঞানান্ধ মনসিজ ! তুই কেমন করিয়া এই কুলকামিনীর সুকোমল অঙ্গে তোর কুসুমশর নিখাত করিলি ? তোর হৃদয় যথার্থই কি পাষাণ । বিনিৰ্ম্মিত, বিধাত কি তোকে নৃশংস কাৰ্য্য সমাধার, নিমিত্ত স্বষ্টি করিয়াছেন ? রে মুখ ! যে কামিনীর লোক্যতীত সৌন্দৰ্য্য-গুণে অবনীমণ্ডল অলঙ্কত হইয়াছে, যিনি ভ্রমক্রমেও কখন অন্য পুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত করেন নাই, তুই কিরূপে সেই অনুঢ়াঙ্গনা উদ্দেশে তোর