পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 দ্বিতীয স্বৰ্গ । অমোঘাত্র নিক্ষেপ করিলি ? কাপুরুষ ! সরল অবলাদিগকে কুসুমশরে পীড়িত করা কি তোর বীরত্বের কাৰ্য্য ; ভীষ্ম প্রভৃতি মহাপুরুষগণ র্যাহারা তোর বিরুদ্ধাচারী হইয়াছিলেন, তাহাদিগকে পরাভূত করিতে না পারিয়া কি হীনবীৰ্য্য নারীজাতির উপর স্বীয় বিক্রম প্রকাশ করিতেছিস্ ? রে নিঘূর্ণ ! . তুই এই স্থান হইতে দূরীভূত হইয়া পলায়ন কর, ইত্যাকার নানাপ্রকারে তাহার কন্দপের প্রতি দোষারোপ করিতে লাগিলেন । এই ভাবে কিয়ৎক্ষণ অতীত হইলে পর, বসন্তকুমারী অপেক্ষাকৃত স্থস্থমন হইয়। চন্দ্রমালার দিকে দৃষ্টিপাত পূর্বক ঈষৎ কোপভরে কহিলেন সখি! তুমিই একমাত্র আমার এই অভূতপূৰ্ব্ব শোকের মূলীভূত হইয়াছ ; যদিস্যাৎ তুমি আমাকে আমার সেই হৃদয়নাথের অনুসরণে প্রবৃত্ত হইতে দিতে, তাহা হইলে আমাকে আজ এই বিষম দুনিবার-শোকদহনে দগ্ধীভূত হইতে হইত না । চন্দ্রমাল রাজতনয়ার বাক্য শ্রবণ করিয়া কহিলেন কুমারি । তাপনি কিপ্রকারে সেই অপরিচিত পুরুষকে স্বামী বলিয়া সম্বোধন করিলেন ? বসন্তকুমারী কহিলেন অয়ি সরল হৃদয়ে! যাহাকে দর্শন মাত্র আমি মন-প্রাণ সমৰ্পণ করিয়াছি, র্যাহার অপরূপ মোহন-মুৰ্ত্তি কি শয়নে, কি ভ্রমণে, কি ভোজনে সকল সময়েই আমার হৃদয়াভ্যন্তরে জাগরক রহিবে, তাহাকে পতি বলিয়া সম্বোধন করিব ইহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? চন্দ্রমালা র্তাহার বাক্য শ্রবণে যার পর নাই বিস্মিত হইয়া কছিলেন