পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

む。 তৃতীয় স্বৰ্গ । শের আগমন, উৎকণ্ঠিত-চিত্তে অপেক্ষা করিতেছেন, এমন সময়ে বসন্তসেন চন্দ্রমালা সমভিব্যাহারে তাহার প্রাসাদশিখরের দ্বার দেশে উপস্থিত হইলেন । তিনি দেখিলেন যে, এক অলোক-সামান্য আয়তলোচনা পীনপয়োধরা কামিনী, অঙ্গ-মাধুরী-সম্ভারে অনঙ্গপত্নীর গর্ব খর্ব করিতেছে। সেই বিশালাক্ষীর সহচরীবর্গ, তাহাকে সন্দর্শন মাত্র অতিমাত্র ব্যগ্র হইয়া, সসন্ত্রমে গাত্ৰোখান পূর্বক কৃতাঞ্জলিপুটে প্রণাম করিয়া বিনয়গর্ভ বচনে কহিলেন যুররাজ ! আমরা আপনকার সমাগমে পরমাপ্যায়িত হইয়াছি ; এক্ষণে আসন গ্রহণ করিয়া আমাদিগকে সম্মানিত করুন। মৃণমালা নাম্নী সহচরী, স্মিত-মুখে বসন্তকুমারীর দিকে দৃষ্টিপাত পূর্বক কহিলেন ভর্তৃদারিকে ! যুবরাজ উপস্থিত, এক্ষণে আপনি সিংহাসন প্রদান না করিলে আসীন হইবেন না । স্মর শর-প্রধূপিতা বালা বসন্তসেনকে দেখিবা মাত্র, হতচেতনার ন্যায় নিস্পন্দ নয়নে তাহার আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিতেছিলেন। এক্ষণে তিনি মৃণমালার বাক্য শ্রবণে ত্রপার বশীভূত হইয়া মৃদুস্বরে কহিলেন সখি ! রাজপুত্রকে আমার কিছু আদেয় নাই ; যে মুহুর্তে আমার নয়ন যুবরাজকে দর্শন করিয়াছিল, সেই সময়াবধি আমিও তাহার হইয়াছি। যদি রাজপুত্ৰ দাসী বলিয়। ঘৃণা না করেন, তবে তুমি আমার হইয় তাহাকে সিংহাসন প্রদান কর। বসন্তকুমারীর বাক্য শ্রবণ করিয়া মৃণমালা হাসিতে হাসিতে কহিলেন কুমারি ! এ বিষয়ে কেহ কাহার প্রতিনিধি হইতে পারেনা, অতএব আমি ইহা