পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী। 登○ পারিব না, তুমিই দেও। নৃপনন্দিনী আর কোন উত্তর না করিয়া লজ্জাবনতমুখী হইয়া রছিলেন । তৎপরে মৃণমালা গাত্ৰোখান পূর্বক, সহাস্য আস্যে আপনার কমনীয় বাহুবল্লী দ্বারা বসন্তসেনের করপল্লব ধারণ করিয়া, তাহাকে রাজবালার পাশ্ব দেশে বসাইলেন । কুমারীর কোমলাঙ্গ তাহার গত্রিম্পর্শ করাতে সৰ্ব্বশরীর রোমাঞ্চিত হইয় উঠিল, এবং তিনিও দেখিলেন নৃপতনয়৷ অনন্যমন হইয়া স্থির নেত্রে তাহার বদনসুধাকর নিরীক্ষণ করিতেছেন । কিন্তু যেমন রাজনন্দন, নৃপনন্দিনীর ইন্দুনিভাননের মাধুরীতে সমাকৃষ্ট হইয়া, স্বীয় নয়ন-চকোর পরিতৃপ্ত্যর্থে তাহার বদন-পানে চাহিতেছেন, অমনি ত্রপাবিধুর বিদুষী রাজতনয়া লজ্জাবনতমুখী হইতেছেন। বসন্তসেন রাজবালার এইরূপ ভাবাবলোকন করিয়া চন্দ্রমালার দিকে দৃষ্টিপাত পূর্বক, কহিতে লাগিলেন সখি ! তোমাদের রাজতনয়াকে জিজ্ঞাসা কর, আমাকে আহত করিয়া এক্ষণে মনে মনে কি কল্পনা করিতেছেন ? বসন্তকুমারী, লজ্জায় কিঞ্চিৎ কুষ্ঠিত হইয়া তৎপরে চন্দ্রমালাকে কহিলেন সখি! তুমি যুবরাজকে বুল, যিনি আমাকে দেখিব৷ মাত্র স্বীয় অলৌকিকরূপলাবণ্য দ্বারা আমার মন-প্রাণ হরণ করিয়াছেন, সেই ব্যক্তি কখন ক্ষমার যোগ্য পাত্র নহেন, তাহাকে দণ্ডনীয় করাই আমার শ্রেয়ঃ হইতেছে। বসন্তসেন দয়িতার এই প্রকার বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাকে কহিলেন প্রিয়ে ! যে তস্কর আপনার হৃদয়াভ্যস্তর হইতে ভবদীয় চিত্তবৃত্তিকে অপহরণ করিয়াছে, তাহাকে