পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী । 66. নৃপতনয় এতাবৎকাল পর্য্যন্ত স্বীয় সহচরীগণে পরিবেষ্টিত থাকাতে, কথঞ্চিৎ পরিমাণে আপনার নাথের সমভিব্যাহারে বাক্যালাপ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এক্ষণে তাহারা তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া যাওয়াতে তিনি ক্ষণকাল অধোবদনে রছিলেন ; তৎপরে মনে মনে কহিতে লাগিলেন মন ! এইস্থানে তোমার কে লজ্জার পাত্র উপস্থিত আছে ? তুমি কাহাকে লজ্জা করিতেছ? যদি জীবিতেশ তোমার লজ্জার পাত্র হন, তবে তুমি কাহার নিকট অকুষ্ঠিত চিত্তে ও অয়ান বদনে তোমার মনোভিলাষ ব্যক্ত করিবে ? এই বলিয়া তিনি আপনার বিকসিত রুচিরসন্তার মুখপদ্ম উন্নত করিয়া তাহার সমভিব্যাহারে . কথা কহিবার উপক্রম করিলেন । কিন্তু যেমন র্তাহারও বসন্তসেনের চারিচক্ষু পরস্পর মিলিত হইল, অমনি সেইক্ষণে লজ্জা আসিয়া যেন তাহাকে তাহার অভিলম্বিত বিষয় হইতে প্রতিনিবৃত্ত করিল । নৃপতনয় রাজবালার অন্তরিক ভাব বুঝিতে পারিয়া, তাহার সুকোমল বাহুবল্লী স্বীয় ক্রোড়দেশে বিন্যস্ত পূৰ্ব্বক, অনুপম স্পর্শ সুখানুভব করিয়া প্রিয়-সম্ভাষণে কহিলেন কোমলাঙ্গি ! আপনি আমার প্রতি যে অসাধারণ অনুগ্রহ বর্ষণ করিয়াছেন, আপনকার এই মহীয়সী কীৰ্ত্তি জগতীতলে সৰ্ব্বক্ষণই দেদীপ্যমান রহিবে, এবং আপনি, এই অশ্রুতপূৰ্ব্ব অমানুষ লোকাতীত ব্যবহারে, কি মানব মানবী, ফি দেব দেবী, সকলেরই প্রংশস-ভাজন হইবেন । প্রাথন করি এই দেবজন-দুলভ অনুগ্রহের অধিকারী হইয় আপন