পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& V) তৃতীয় সর্গ। কার চিরস্নেহ ভাজন হই । নৃপনন্দনের অমৃতায়মান বচনপরম্পর শ্রবণ পূর্বক রাজবালা বীতলজ্জা হইয়া কহিলেন যুবরাজ ! এ নীচ আপনকার চরণারবিন্দ-সেবিকা, আমাকে এত অনুনয়ের আবশ্যক কি ? যদি কৃপা করিয়া পরিচারিকাভাবে কাছে রাখেন, তাহ হইলে আমার পরম সৌভাগ্য; - নতুবা আমি আপনকার সমক্ষে প্রাণত্যাগ করিয়া যাবতীয় ক্লেশের পর্য্যবসান করিব । বসন্তসেন তাহার এই প্রকার কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়া শোক-দিগ্ধ-হৃদয়ে কহিলেন প্রিয়ে ! তুমি আমার সমক্ষে আর মৃত্যুকে আহবান করিও না ; তোমার অমঙ্গল জনক বাক্য শ্রবণ করিলে আমি সাতিশয় সন্তাপিত হই ; আমি নিশ্চয় বলিতেছি, আমার চিত্ত মুহুৰ্ত্ত সময়ের নিমিত্ত তোমা ব্যতীত অন্য কোন দিকে গমনোদ্যত হইবে না ; কি শয়নে, কি ভোজনে, সর্বাবস্থাতেই তোমার ঐ মনোমুগ্ধকারি রূপ, অনুক্ষণ আমার হৃদয়াভ্যন্তরে জাগরূক রহিবে । আমি তোমা ব্যতীত স্থানান্তরেও গমন করিব না, যেখানে যাইব, সেই খানে তোমাকে ছায়ার ন্যায় সমভিব্যাহারিণী করিব ; আমার মনকে তোমার হৃদয়াগারে লৌহ-কীলকাবদ্ধ দ্বারের ন্যায় আবদ্ধ করিলাম, এই বলিয়া তিনি বসন্তকুমারীর অলৌকিক রূপ-মাধুরী অবলোকন করিতে করিতে তৎ পক্ষপাতী হইয়া কহিলেন প্রিয়ে ! তোমার কি অপরূপ মনোহর রূপ। বিধাতা যে সুনিপুণ শিল্পী, তাহা তোমাতেই সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে। মহানুভবে ! আমি যখন তোমার ইন্দুনিভাননের অপরূপ-লাবণ্যাকৃষ্ট হইয়।