পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী 登守 তোমাকে সন্দর্শন করিতেছি, তখন আমার অন্তরাত্মা কেমন এক অভূতপূৰ্ব আনন্দরসে আপ্লুত হইতেছে ও আমাকে ক্রমে ক্রমে অবসন্ন করিয়! ফেলিতেছে । বসন্তকুমারী দয়িতের এই প্রকার বচনবৈদগ্ধ্য শ্রবণ করিয়া পরমাপ্যায়িত হইলেন, এবং আপনার ভূষণ-ভূষিতবাহু-লতা তাহার কণ্ঠদেশে বিনিবেশিত করিয়া কহিলেন নাথ ! বিধাত যে আমাকে এবম্বিধ সুখী করবেন, ইহ। আমি স্বপ্নেও জানিতে পারি নাই ; যদি ধ্বংসী কাল অকালে বিরোধী ন হয়, তাহ হইলে আমাদের তার সুখের পরিসীমা থাকিবে না ; এই প্রকারে তাহার। সমস্ত নিশ নানা বিষয়িণী কথা প্রসঙ্গে যাপন করিতে লাগিলেন । পরদিন রজনী অনুসন্না হইবামাত্র, চন্দ্রমালা প্রভৃতি রাজতনয়ার সহচরীবর্গ, সমবেত হইয় তাহার নিকটদেশে উপস্থিত হইলেন, এবং নায়ক নায়িক উভয়কেই অভিবাদন করিয়া চন্দ্রমন কহিলেন ভর্তুদারিকে ! সংপ্রতি কুমুমিকা নাৰী আপনকার সহচরী নানা তীর্থ পৰ্য্যটন করিয়া প্রত্যাগমন করিয়াছে ; সে আপনকার এই অঙ্গরীয়কটা আমার হস্তে সমর্পণ করিয়া কহিল সখি ! তুমি ভর্তুদারিকাকে কহিবা, যখন তানি শ। স্তশিল পৰ্ব্বতে গমন করিয়াছিলাম, তখন এক পরিব্রাজক তথায় অপর্ণ করেন, আমি আপনকার অঙ্গুরীয়ক বলিয়। চিনিতে পারাতে আগ্রহাতিশয় সহকারে গ্রহণ করিয়াছিলাম এই বলিয়া চন্দ্রমালা অঙ্গুলীভূষণ প্রদান করিলেন । বসন্তকুমারী এই অসম্ভাবিত বিষয় শ্রবণ করিয়া যার পর নাই বিস্মিত ( v )