পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপসংহার।
২৫১

পরিণীতা পত্নী বন্ধ্যা, ব্যভিচারিণী, সুরাপারিণী, চিররোগিণী প্রভৃতি স্থির হইলে, শাস্ত্রকারেরা পুরুষের পক্ষে পুনরায়দারপরিগ্রহের অনুমতি দিয়াছেন। সেই অমুমতির অনুবর্ত্তী হইয়া, পুরুষ যে দারপরিগ্রহ করে, উহার নাম ধর্ম্মার্থ অধিবেদন। পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধন গৃহস্থশ্রমের প্রধান উদ্দেশ্য। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি দোষ ঘটিলে, ঐ দুই প্রধান উদ্দেশ্যের সমাধান হয় না। ঐ দুই প্রধান উদ্দেশ্য সমাহিত না হইলে, গৃহস্থ ব্যক্তিকে প্রত্যবায়গ্রস্ত হইতে হয়। এজন্ত, শান্ত্রকারেরা তাদৃশ স্থলে অধিবেদনের অনুমতি প্রদান করিয়া গিয়াছেন। আর, পূর্ব্বপরিণীতা পত্নীর সহযোগে রতিকামনা পূর্ণ না হইলে, ধনবান্ কামুক পুরুষের পক্ষে শাস্ত্রকারেরা অসবর্ণাপরিগ্রহের অনুমোদন করিয়াছেন। সেই অনুমোদনের অনুবর্ত্তী হইয়া, কেবল কামোপশমনবাসনায়, কামুক পুরুষ অনুলোমক্রমে বর্ণান্তরে যে দারপরিগ্রহ করে, উহার নাম কামার্থ অধিবেদন। নিবিষ্ট চিত্তে, শাস্ত্রের তাৎপর্য্য পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে, স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, শাস্ত্রোক্ত নিমিত্ত ঘটনা ব্যতিরেকে সবর্ণা পত্নীকে অপদস্থ বা অপমানিত করা শাস্ত্রকারদিগের অভিমত বা অভিপ্রেত নহে। কামোপশমনের নিমিত্ত নিতান্ত আবশ্যক হুইলে, তাঁহারা কামুক পুরুষের পক্ষে অসবর্ণা পরিগ্রহের অনুমোদন করিয়াছেন বটে; কিন্তু, পূর্ব্বপরিণীতা সবর্ণা সহধর্ম্মিণীর সন্তোষসম্পাদন ও সম্মতিলাভ ব্যতিরিক্ত স্থলে তাদৃশ অধিবেদনে অধিকার বিধান করেন নাই; সুতরাং, কামার্থ অধিবেদনের পথ এক প্রকার ব্রুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন, বলিতে হইবেক; কারণ, পূর্ব্বপরিণীতা সহধর্ম্মিণী সন্তুষ্ট চিত্তে স্বামীর দারান্তরপরিগ্রহে সম্মতি দিবেন, ইহা কোনও মতে সম্ভব নহে; আর, যদিই কোনও অর্থলোভিনী সহধর্ম্মিণী, অর্থলাভে চরিতার্থ হইয়া, তাদৃশ সম্মতি প্রদান করেন, এবং তদনুসারে তাঁহার স্বামী অসবর্ণা বিবাহ করিলে, উত্তর কালে তন্নিবন্ধন