বাঁশী।
৩৩
লো। আজ্ঞা। এ সব কাজ হাতাহাতিই ভাল। কি জানি, কবে কি হয় বলা যায় না।
প্রা। ভাল-আজ এত রাত্রিতে আর গোলযোগে কাজ নাই। কাল প্রাতেই হইবে।
লো। আপনার সঙ্গে দিনের বেলায় দেখা করা আমার ভাল দেখায় না। লোকে নানা রকম সন্দেহ করিতে পারে। তাই বলিতেছি, আজই আমায় বিদায় করুন।
প্রা। জিনিষটা না দেখিয়া—
লো। তবে কি আপনি আমায় অবিশ্বাস করেন? আপনি কি মনে করেন, আমি আপনাকে ঠকাইতেছি।
প্রা। না না, সে কথা মনে করি না। তোমার সঙ্গে আমার এই প্রথম কারবার নয়।
লো। আমিও তাই বলিতেছিলাম। তখন প্রাণকৃষ্ণ বাবু ঘরের ভিতর হইতে কি আনিয়া লোকটার হাতে দিলেন। সে সন্তুষ্ট হইয়া সেখান হইতে চলিয়া গেল। প্রাণকৃষ্ণ বাবুও আবার ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। আমিও আর সেখানে থাকা যুক্তিসিদ্ধ নয় বিবেচনা কবিয়া, নামিয়া আসিলাম এবং এক গোপনীয় স্থানে লুকাইয়া রহিলাম।
লোকটা কোথা হইতে আসিল, কেনই বা এত রাত্রে জমীদার বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিল। সেই চুবড়ী করিয়া কি আনিল। তাহাকে দেখিয়া সন্ন্যাসীর ন্যায় বোধ হইয়াছিল। এই গভীর, রাত্রে সন্ন্যাসীর সহিত প্রাণকৃষ্ণের প্রয়োজন কি?; বিশেষতঃ আজ তঁহার শরীর অসুস্থ বলিয়া শীঘ্র শীঘ্র বিশ্রাম করিতে