বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঁশী।
৪৩

 খানিক পরে ভোলা আস্তে আস্তে আমার নিকট আসিয়া চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিল, “এখন আলোটা জ্বলিয়া দিব?”

 আ। না না, এমন কাজ করি না। ভো। অন্ধকারে বড় কষ্ট হইতেছে। বিশেষতঃ এক ঘুমের সময়, তাহার উপর ঘর অন্ধকার। ইহাতে সহজেই আমার ঘুম পাইতেছে।

 আ। আলো জ্বাললে এখনই তোর বাবু সন্দেহ করবে।

 ভো। তিনি ত উপরের ঘরে। তাহার উপর তিনি আজ বড় অসুস্থ। আপনি যে এই ঘরে আলো জ্বালিয়াছেন, একথা তিনি কিরূপে জানিতে পারিবেন?

 আ। তোর মনিব বেশ সুস্থ আছেন, তিনি যে ভয়ানক কার্য্যে নিযুক্ত হয়েছেন, তা শেষ করবার জন্যই তিনি আপনাকে অসুস্থ বলে রাষ্ট করেছেন। তিনি এখন উপরের গৃহে জেগে বসে আছেন, কেবল সুযোগ অন্বেষণ করছেন। আমি এখানে আলো জ্বাললে তিনি জানতে পারবেন।

 ভো। কি করিয়া জানিতে পারিবেন?

 অ এই নলের সাহায্যে। ঐ কার্য্যের জন্যই এই নলটা সম্প্রতি এখানে বসান হয়েছে। ভোলা আর কোন উত্তর করিল না। আমরা দুইজনে নিঃশব্দে সেখানে বসিয়া রহিলাম। দেখিতে দেখিতে একটা দুইটা ও তিনটা বাজিয়া গেল;কোনরূপ গোলযোগ বা কোন প্রকার শব্দ শুনিতে পাইলাম না।

 সহসা সেই ভয়ানক নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া, হিস হিস শব্দ। আমার কর্ণগোচর হইল। শব্দ শুনিয়া আমার বোধ হইল যে,