দশম পরিচ্ছেদ।
সুধার ঘরে আসিয়া আগে আলো জ্বালিলাম। পরে। ভোলাকে এক স্থানে বসিতে বলিয়া, স্বয়ং সুধার বিছানার উপর সেই নলের নিকট গিয়া বসিলাম; এবং আলোক নিভাইয়া দিলাম।
আমার প্রায় ছয় হাত দূরে ভোলা বসিয়াছিল। আমি তাহাকে কোনরূপ শব্দ করিতে নিষেধ করিয়াছিলাম। সেও নির্দিষ্ট স্থানে চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। আমার হাতে এক গাছি মোটা লাঠী ও একটী দেশলাই ছিল। ভোলা আমার হাতে লাঠী দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনার হাতে লাঠী কেন?”
আমি হাসিয়া উত্তর করিলাম, “যদি তুই আমার কথা না শুনি, এই লাঠী তোর পিঠে পড়বে।”
ভোলার ভয় হইল, বলিল, “আমি আপনাকে বেশ চিনি। এ পর্যন্ত আপনি কখনও কোন চাকরের গায়ে হাত তুলেন না।”
আমি বলিলাম, “যদি তাই জানি, তবে চুপ করে বসে মজা দেখ। তোদের বাবু কত বড় ভয়ানক লোক এখনই জানতে পারবি।”
ভোলা আর কোন কথা কহিল না। যখন আমরা সুধার ঘরে আসিলাম, তখন ঘড়ীতে বারটা বাজিল। তখনও, অনেক বিলম্ব ছিল বটে, কিন্তু আমি কোনমতে নিশ্চিন্ত হইয়া ঘুমাইতে পারিলাম না।