পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉の° বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড ll ᏬNᏇ l মোঃআব্দুল মালেক মণ্ডল গ্রাম ও থানা- সারিয়া কান্দি জেলা- বগুড়া ১৪ ই আগষ্টে পাক বাহিনী সারিয়া কান্দিতে চলে আসে। সারিয়া কান্দিতে কালো পতাকা ও ংলাদেশের পতাকা দেখে অসংখ্য বাড়ীঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ আরম্ভ করে। অতঃপর আমারা দোকানে চলে আসে। দোকানে আসার পর আমার ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করে। তা ছাড়া মুক্তিবাহিনী কোথায় আছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের কথা জিজ্ঞাস করে। উত্তরে আমি অস্বীকার করি। অতঃপর সেখান থেকে চলে গিয়ে থানায় ঘাঁটি করে। ঐ দিন বিকেলের দিক কতিপয় খান সেনা ও রাজাকারেরা পুনরায় ভিতর একটি বাংলাদেশের পতাকা পায়। পতাকা দেখে তৎখণাৎ তারা দোকানের সমস্ত মালপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি ঐ সময় দোকানে উপস্থিত ছিলাম না। তবে অনুমান করি যে, এক মাত্র দোকান থেকে ৭০/৭৫ হাজার টাকার মাল পত্র খান দসু্য ও রাজাকারেরা নিয়ে যায়। অতঃপর দুষ্কৃতকারীদের চক্রান্তে খান পশু ও রাজাকারেরা আমার বাড়ীর দিকে রওয়ানা হয়। সেখানে গিয়ে তারা বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করে দেয়। ১৫ই আগষ্ট বিকালবেলায় আমার ছেলে বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ কর্মী আবজল হোসেনকে ধরে নেয়। তাদের ক্যাম্পে নেওয়ার পর বুট, লাথি, লোহার রড ও রাইফেলের বাঁটের সাহায্যে তার দেহে ভীষণ আঘাত করে। তাছাড়া সিগারেটের জুলন্ত আগুন দিয়ে তার শরীর পুড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, পায়খানার ভিতর অনাহারে তিন দিন যাবৎ তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে দেয়। তিন দিন পর খান সেনারা তাকে ছেড়ে দেয়। খান পশুরা যেভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিল, ইতিহসে তার নজির নেই। স্বাক্ষর/মোঃ আব্দুল মালেক মণ্ডল ১৯/৯/৭৩