সাথীকে নিয়ে ঢুকল পিকচার প্যালেসের কাছে এক রেষ্টুরেণ্টে চা খেতে। তখন সে বুঝতেও পারেনি এটাই হল তার জীবনের শেষ চায়ের কাপ। বাইরে অপেক্ষা করছিল দুজন খান। যেই মুহূর্তে ননী বেরিয়েছে অমনি তাকে পাকড়াও করে তুলল রিকশাতে। রিকশা ছুটল বধ্যঘাঁটি হেলিপোর্টে, যেখানে অপেক্ষা করছিল বর্বর পাকসেনারা।
১৭/১৮ বছর বয়সের ননী ছিল নির্ভীক ও তেজোদ্দীপ্ত। মৃত্যু অবধারিত জেনেও বাঙ্গালী তরুণ ননী খানসেনাদেরকে রেখে কথা বলেনি। কঠিন ভাষায় সে প্রতিবাদ করেছিল— যার প্রতিশোধে তাকে তারা হত্যা করেছিল নির্মমভাবে। বর্বররা তার পায়ে দড়ি বেঁধে হেলিপোর্টের সিলিং-এ পা উপরে মাথা নীচে দিয়ে ঝুলিয়েছিল।
তারপর চালালো তার দেহে চাবুক। চাবুকের প্রতিটি বাড়ি তার দেহে কেটে বসে যাচ্ছিল। আর সে অর্তনাদ করছিল। সময়টা ছিল দুপুর। তার সাথীরা ছিল নির্বাক পথযাত্রী কয়েকজন বাঙ্গালী। চাবুকের বাড়িতে যন্ত্রণায় তার মুখম-ল থেকে চোখ দুটো বেরিয়ে গিয়েছিল।