ইস্ট বেঙ্গলের নির্ভীক যোদ্ধাদের নিশ্চিত আঘাতে ভেঙ্গে পড়তে লাগলো ওদের বাঙ্কার, গুড়ো গুড়ো হয়ে গেল পাকিস্তানী ডিফেন্স। প্রাণভয়ে চিলমারী ডিফেন্স ছেড়ে পালাচ্ছে ৭০০ পাকসেনার হেড-বডি ও আহতদের নিয়ে ৭/৮ মাইল দূরে, চিলমারী রেলওয়ের দিকে। পালাবার পথে প্রাণ দিচ্ছে ওঁৎ পেতে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির ঘায়ে।
২০শে আগস্ট মুক্ত হয়ে গেল চিলমারী। রক্তক্ষয়ী পাঁচদিন পাঁচরাত যুদ্ধের পর শত প্রাণশক্তিতে ভরপুর ইস্ট বেঙ্গলের বীর জোয়ানরা এগিয়ে চললো পলাতক পাক হানাদারদের পরবর্তী ডিফেন্স লাইন চিলমারী রেলওয়েতে আঘাত হানার জন্য। পশ্চাতে পড়ে থাকলো রক্তস্নাত চিলমারী। আনন্দে উদ্বেলিত জনগণ চিলমারীর রণক্ষেত্রে এসে দেখতে পেলো বাঙ্কারে বাঙ্কারে পড়ে আছে শতাধিক হানাদার ও রাজাকারের লাশ। পাক হানাদারদের ডিফেন্স লাইন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা নিহত হানাদারদের চিলমারীতে কবর দেয়ার ব্যবস্থা করে। পাকিস্তানীদের দুইটি লঞ্চ ধরা পড়ে ও ২টি স্পীডবোট ধ্বংস হয়। ধ্বংস হয় কয়েকটি সাঁজোয়া গাড়ী। ইস্ট বেঙ্গলের ৩ জন সামান্য আহত হয়।