পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৯০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Գ8 বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খন্ড any doubt, and I do not see as to why the hon. Member has labored this point and said that this was perhaps an excuse in 1954 which apparently he appears to gulp. I would warm him that he should not adopt that attitude. We knew that in 1954, these arms were supplied to Pakistan against us, and the same policy continues. So, there was no question of any valid excuse in 1954, as there is none today, except their own desire, as they say, to continue to give support to Pakistan in the matter of military equipment. He has ultimately asked as to what are our plans in relation to Bangladesh. This question relates to the supply of arms. We had a whole day’s debate on Bangladesh and I do not intend to repeat my speech. শ্ৰী অটল বিহারী বাজপেয়ী (গোয়ালিয়র); স্পীকার মহোদয়, আমাদের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াশিংটন থেকে ফিরে আসার পর থেকে প্রতিদিন মার্কিন সরকারের নীতি সম্পর্কে এমন সব তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে যা ভারতের জন্য হুমকীস্বরুপ। আমি একথা বলব না যে, এটি বিদেশ মন্ত্রীর সফরের ফল কিন্তু একথা অবশ্যই বলব যে, তিনি ওয়াশিংটনকে প্রভাবিত করতে ব্যার্থ হয়েছেন। ওয়াশিংটন থেকে ফিরে এসে পালাম বিমান বন্দরে তাঁকে খুশি দেখাচ্ছিল। তিনি আশ্বাস দিলেন যে, মার্কিন নীতির পরিবর্তন হয়েছে, তারপরে জানা গেল যে, জাহাজ যাচ্ছে। প্রথমে দুটি জাহাজ আবার তিন জাহাজ, আবার পাঁচটি জাহাজ। এখন বলা হচ্ছে, পাইপ লাইনের সকল সাহায্য পৌছানো হবে। পাইপ লাইন কত দীর্ঘ কে জানে। এও জানা সম্ভব হচ্ছে না যে, তার ভেতরে কত অস্ত্র রয়েছে, কত যন্ত্রাংশ রয়েছে। মার্কিন সিনেটরদের কথাবার্তায় এসব জানা যাচ্ছে এবং এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো উচিত তবে এর সঙ্গে সঙ্গে নিজ দূতাবাসকেও আমাদের অধিক সক্রিয় করে তোলা আবশ্যক। সিনেটর চার্চ যা বলেছেন, “নিউইয়র্ক টাইমস’ সেটি সমর্থন করেছে। আমি বিদেশ মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছি, একথা কি সত্য যে, আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্টকে সুপারিশ করেছিলেন, এ সময়ে পাকিস্তানকে কোন অস্ত্র না দিতে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নিক্সন নিজ ক্ষমতাবলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আমেরিকা অস্ত্র যাবে। আমি জানতে চাই, এ ব্যাপারে ভারত সরকারের বক্তব্য কি। ...আমি জানতে চাই, মার্কিন সরকারের কৌশল ও মনোভাব সম্পর্কে তাঁদের অভিমত কি? বিদেশ মন্ত্রী মহোদয় বলছেন, এই অস্ত্র বাংলাদেশে গণহত্যা আরো বৃদ্ধি করবে। এতে আমি একমত। তবে আমি আরেক পা এগিয়ে গিয়ে বলতে চাই, বাংলাদেশ গণহত্যা চালানোর মত পর্যাপ্ত অস্ত্র পাকিস্তানের আগে থেকেই রয়েছে, এ সব অস্ত্র আসছে যে কোন সময় ভারতের ওপর পাকিস্তানের আক্রমণের উদ্দেশ্য নিয়ে। এ আক্রমণ যে কোন স্থানে হতে পারে। জম্মু-কাশিরে, রাজস্থানে, গুজরাটেও হতে পারে নচেৎ এ সময় অস্ত্র প্রেরণের কি উদ্দেশ্য? আমেরিকার মনোভাব কি? বিদেশ মন্ত্রী মহোদয় বলছিলেন, রাশিয়া ও আমেরিকাকে আমাদের এক সারিতে দেখার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আজকের সংবাদপত্রে ইজভেস্তিয়ার খবর ছাপা হয়েছে-রাশিয়ার নেতা আমাদেরকেও বলছেন, ধৈর্য্য ধর, পাকিস্তানকেও বলছেন, ধৈর্য্য ধর। এইটে কি ভারত ও পাকিস্তানকে একই সারিতে রাখা হচ্ছে না? এখন আমি দুতিনটি প্রশ্ন করতে চাই। প্রথম প্রশ্ন এই যে, সরকার কি আমেরিকাকে এ যাবত কোন প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন। কূটনৈতিক ডঃ কিসিঞ্জার এখানে এসেছিলেন। তাঁর কাজ পরামর্শ দেয়া। ভুল পরামর্শও তিনি দিতে পারেন। তিনি পরামর্শ দেবেন সেখানে আর এখানে তিনি তথ্য উদ্ধার করবেন। আমি জানতে চাই আমরা কি তাঁকে শরণার্থী শিবিরে গিয়ে একটু পরিদর্শন করে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি? এটা করা হলেইতো তিনি তথ্য পেয়ে যেতেন। আগত লোকদের চেহারায় ভয় ও আতংকের যে সব কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে তিনি তা পড়ে নিতে পারতেন আর মন্ত্রী মহোদয়ের প্রয়োজন হত না তাকে বুঝাবার। আমরা তাঁকে কোন শরণার্থী শিবিরে না পাঠালে কি কারণে পাঠাইনি?