পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

431 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড (৩) উপ-অনুেচ্ছেদ (১) এর অধীনে বাংলাদেশ রাজ্য এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজ্যগুলোর শাসনতন্ত্র তৈরী হয়ে যাওয়ার পর এবং নিজ নিজ চেয়ারম্যান যখন প্রেসিডেন্ট লিখিতভাবে জানান যে উপঅনুচ্ছেদ (১) এর শাসনতন্ত্র তৈরী করা হয়েছে তখন প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের এক অধিবেশন ডাকবেন যাতে সব সদস্য পাকিস্তান কনফেডারেশনের জন্যে একটি শাসনতন্ত্র তৈরীর উদ্দেশ্যে একটি সার্বভৌম সংস্থা হিসেবে অধিবেশনে মিলিত হবে । (৪) এই ঘোষণাপত্রের দ্বারা প্রেসিডেন্টের ১৯৭০ সালের ২ নম্বর আদেশ সংশোধনসাপেক্ষে এই আদেশে যে পদ্ধতির ব্যবস্থা রয়েছে উপ-অনুচ্ছেদ (৩) এর অধীনে সমগ্র পাকিস্তানের জন্যে একটি শাসনতন্ত্র তৈরী করার কাজে সে পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে । (৫) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা তাঁর দ্বারা নিয়োজিত কোন ব্যক্তির সামনে উপযুক্ত আইন সম্মেলনের প্রথম বৈঠকে নিম্নোক্ত ধরনের শপথ নিয়ে বা প্রতিজ্ঞা করে জাতীয় পরিষদের সদস্যরা প্রেসিডেন্টের ১৯৭০ সালের ২ নম্বর আদেশে ১২ নম্বর অনুচ্ছেদের ব্যবস্থাগুলো মেনে নিয়েছেন বলে মনে করা হবে । শপথ নিম্নরুপ “আমি "ক, খ শপথ নিচ্ছি/প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমি আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসী হব এবং সত্যিকারের আনুগত্য পোষণ করব । (৬) এই অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (৫) এ বর্ণিত শপথ গ্রহণ বা প্রতিজ্ঞা করার পর জাতীয় পরিষদের কোন সদস্য সব অধিকার, সুযোগ-সুবিধে, ভাতা ইত্যাদি পাওয়ার যোগ্য হবেন যা আইন অনুসারে জাতীয় পরিষদের একজন সদস্য পেতে পারেন। (৭) প্রেসিডেন্টের ১৯৭০ সালের ২ নম্বর আদেশের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিবর্তে হবে “২৫, জাতীয় পরিষদে পাশ করা শাসনতন্ত্র বিল স্বাক্ষরের জন্যে প্রসিডেন্টের কাছে পেশ করা হবে । এই বিল পেশ করার পর প্রেসিডেন্ট তাতে স্বাক্ষর করবেন এবং কোনক্রমে শাসনতন্ত্র তাঁর কাছে পেশ করার দিন থেকে ৭ দিন শেষ হয়ে গেলে তা স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে মনে করা হবে ।” ১৭। (১) ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থাবলী কার্যকরীভাবে চালু করার জন্যে প্রেসিডেন্ট আদেশক্রমে এমন সব ব্যবস্থা তৈরী করতে পারবেন যা তার কাছে প্রয়োজনী বা উপযোগী বলে মনে হয়। (২) পূর্বে উল্লিখিত ক্ষমতার সাধারণত্বের প্রতি পূর্ব ধারণা না করে বিশেষ করে নিম্নলিখিত (ক) এই ঘোষণাপত্রের দ্বারা অস্তিত্বে আনা নতুন শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থাবলী কার্যকরী করার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে আবশ্যকীয় ক্ষমতা, অধিকার, সম্পদ, কর্তব্য ও দায়িত্ব, ন্যায্যভাবে বণ্টন। (গ) কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব, সম্পদ, অধিকারের অনুগমন ও হস্তান্তর এবং রাজ্যগুলোর মধ্যে এ ধরনের অধিকার ন্যায্যভাবে বণ্টন। (ঘ) কোন রাজ্য এবং তার ক্ষমতা ও কাজের উদ্দেশ্যে অফিসার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ নিয়োগ ও বদলী এবং রাজ্যগুলোর কাজকর্মের ব্যাপারে কোন সার্ভিসের লোক বরাদ্দ এবং রাজ্যসমূহ ও কেন্দ্রের জন্যে সার্ভিসের গঠনতন্ত্র।