পাতা:বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৭, ২০১৪.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৬০৪
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৭, ২০১৪

(৭) কোয়ারী সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম মঞ্জুরকৃত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

(৮) কয়লা কিংবা অন্যান্য খনিজ অনুসন্ধান/খনি কার্যক্রম পরিচালনাকালীন সময়ে লাইসেন্স/ইজারাগ্রহীতা কর্তৃক সাদামাটির সন্ধান পাওয়া গেলে খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি-৬ এর বিধান অনুযায়ী সাদামাটির জন্য পৃথকভাবে লাইসেন্স/ইজারার আবেদন ব্যুরোতে দাখিল করতে হবে এবং উত্তোলিত সাদামাটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হারে রয়্যালটি পরিশোধ সাপেক্ষে কেবলমাত্র দেশের অভ্যন্তরে সাদামাটি ব্যবহারকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের নিকট বিক্রয় করা যাবে।

(৯) ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে সাদামাটি পাওয়া গেলে জমির মালিক সাদামাটি ব্যবহারকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হলে জমির মালিক বা মালিকের নিকট থেকে ক্ষমতা (Power of Attorney) প্রাপ্ত ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাঁর অনুকূলে কোয়ারী ইজারা মঞ্জুর করা যাবে।

(১০) ইজারাগ্রহীতা ইজারা মঞ্জুরী প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বিএমডি’তে দাখিল করবে। প্রতি তিন মাস অন্তর জানুয়ারি-মার্চ সময়ের জন্য এপ্রিল মাসের ১ম সপ্তাহে, এপ্রিল-জুন সময়ের জন্য জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য অক্টোবর মাসের ১ম সপ্তাহে, অক্টোবর—ডিসেম্বর সময়ের জন্য পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসের ১ম সপ্তাহে রয়্যালটি নির্ধারণের লক্ষ্যে মনিটরিং কমিটি কোয়ারী এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। সাদামাটি উত্তোলন ও অপসারণের বিষয়ে মনিটরিং কমিটির সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদনের আলোকে বিএমডি রয়্যালটি নির্ধারণ করবে।

(১১) ইজারা চুক্তির শর্ত, সাদামাটি উত্তোলন ও বিপণন নির্দেশিকা, ২০১৪ এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২ যথাযথভাবে অনুসরণ না করে কিংবা কোনো শর্ত ভঙ্গ করে ইজারাগ্রহীতা অবৈধভাবে সাদামাটি উত্তোলন করলে মনিটরিং কমিটি সরেজমিনে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএমডি’র নিকট সুপারিশ করবে।

(১২) ইজারাগ্রহীতাকে ইজারা এলাকার সীমানার মধ্যে জনসাধারণের সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে, যাতে উক্ত ইজারার সম্পূর্ণ বৃত্তান্ত অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের নাম, মৌজার নাম, জমির পরিমাণ, মঞ্জুরী/নবায়নের মেয়াদ, উত্তোলিত খনিজের নাম, অপসারণের জন্য অনুমোদিত সাদামাটির পরিমাণ ও সময়সীমা সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রদর্শিত থাকবে।

(১৩) ইজারাগ্রহীতা ইজারা এলাকার সংলগ্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমনঃ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা, ব্রিজ, কালভার্ট, খেলার মাঠ ইত্যাদি উল্লেখসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন বিএমডি’তে দাখিল করবে।

১৪। মনিটরিং কমিটি প্রতি মাসে বিএমডি’র নিকট সাদামাটির রিপোর্ট দাখিল করবে; বিএমডি প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগে রিপোর্ট প্রেরণ করবে।