পাতা:বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৭, ২০১৪.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৭, ২০১৪
১২৬০৩

(৭) টিআইএন এর সত্যায়িত কপি।

(৮) মৌজা ম্যাপ ৩ (তিন) কপি।

(৯) টপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ ৩ (তিন) কপি।

(১০) ভূ-তাত্ত্বিক প্রতিবেদন ৩ (তিন) কপি।

(১১) ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর প্রত্যয়নপত্র।

(১২) নামজারীর সত্যায়িত কপিসহ জমির মালিকানার প্রমাণপত্র (ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ক্ষেত্রে)।

আবেদনপত্রসমূহ বাছাই/মূল্যায়ন:

(১) মনিটরিং কমিটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত আবেদনপত্রসমূহ যাছাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে গ্রহণযোগ্য (Responsive) আবেদনপত্রসমূহের তালিকা প্রস্তুত করবে। অতপর আবেদনকৃত কোয়ারী সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ যাছাই-বাছাই করে এলাকা চিহ্নিত করতঃ এলাকার চতুর্সীমা নির্ধারণক্রমে মনিটরিং কমিটি ইজারার বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত/সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন বিএমডি বরাবরে দাখিল করবে। মনিটরিং কমিটির সুপারিশের আলোকে সরকারের অনুমোদনক্রমে আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২ অনুযায়ী বিএমডি ইজারা প্রদান করবে।

(২) একটি কোয়ারীতে একাধিক আবেদন থাকলে গ্রহণযোগ্য (Responsive) আবেদনপত্রসমূহের মধ্য থেকে মনিটরিং কমিটি লটারীর মাধ্যমে একটি আবেদনপত্র বাছাই করে তার অনুকূলে ইজারা প্রদানের জন্য বিএমডি বরাবরে সুপারিশ করবে।

(৩) আবেদনকারীকে চূড়ান্ত ইজারা মঞ্জুরীপত্র প্রাপ্তির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর হতে পরিবেশগত ছাড়পত্র (ECC) গ্রহণ করে তা বিএমডিতে দাখিল করতে হবে। অন্যথায় আবেদনকারীর অনুকূলে কোনোক্রমেই চূড়ান্ত ইজারা মঞ্জুরীপত্র প্রদান করা যাবে না।

(৪) মঞ্জুরকৃত কোয়ারী ইজারা এলাকার পরিমাণ কোনোক্রমেই ৩০ (ত্রিশ) হেক্টরের বেশি হবে না।

(৫) সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বছর সময়ের জন্য ইজারা মঞ্জুর করা হবে। পরবর্তী সময়ে একবারে কোনোক্রমেই ০১ (এক) বছরের অধিক সময়ের জন্য নবায়ন করা যাবে না। ইজারাগ্রহীতার কার্যক্রম সন্তোষজনক হলে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ০৩ (তিন) বার নবায়ন করা যাবে। অর্থাৎ প্রাথমিক মঞ্জুরীকালসহ কোয়ারী মঞ্জুরীর মোট মেয়াদকাল কোনোক্রমেই ০৫ (পাঁচ) বছরের অধিক হবে না। ইজারা গ্রহীতা নবায়নের আবেদন কোনো অধিকার হিসেবে দাবী করতে পারবেন না। প্রতিবার নবায়নের ক্ষেত্রে মনিটরিং কমিটির সুপারিশসহ বিএমডি সরকারের অনুমোদনের জন্য জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সুস্পষ্ট প্রস্তাব প্রেরণ করবে।

(৬) পাহাড় বা টিলা হতে সাদামাটি আহরণের কোনো আবেদন বিবেচিত হবে না এবং এ ক্ষেত্রে ইজারা প্রদানের বিষয়ে মনিটরিং কমিটিও কোনোরূপ সুপারিশ করতে পারবে না। এছাড়া পরিবেশগত বিপর্যয় এবং আর্থ-সামাজিক দিক বিবেচনায় পাহাড়ি ভূমি বা নৈসর্গিক সৌন্দর্য নষ্ট করে বা মূল্যবান উর্বর কৃষি জমি ধ্বংস করে বা বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে সাদামাটি উত্তোলন করা যাবে না।