পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ミい बां२लांग्न अभनं বৈষ্ণবজগতে তিনি বলরামের অবতাররূপে পূজিত। নিত্যানন্দের জন্মতিথি মাঘ মাসের শুক্ল ত্রয়োদশী উপলক্ষে গর্ভবাসে এবং দোল ও রাসযাত্রার সময় বীরচন্দ্রপুরে মহোৎসব হয়। মল্লারপুর হইতে বীরচন্দ্রপুর শীতকালে মোটরবাসযোগে এবং অন্যান্য সময় গো-যানে যাওয়া যায়। একচক্রপুরের ৪ মাইল পশ্চিমে কাঁদড়া গ্রামে প্রসিদ্ধ পদকৰ্ত্তা জ্ঞানদাস ১৫৬০ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। কাঁদড়ায় জ্ঞানদাসের প্রতিষ্ঠিত একটি মঠ আছে। পৌষ পূর্ণিমায় তথায় মহোৎসব ও তিন দিন ব্যাপী মেলা বসে। রামপুর হাট—খান জংশন হইতে ৬১ মাইল দূর। ইহা বীরভূম জেলার মহকুমা। এখানে সপ্তাহে দুই দিন খুব বড় হাট হয়। এই স্থানের তিন মাইল পশ্চিমে লালপাহাড়ী নামে একটি পাহাড় আছে। রামপুর হাটের ৩ মাইল দূরে দ্বারকানদীর পূর্ব তীরে চণ্ডীপুর বা তারাপুর গ্রামে তারাদেবীর মন্দির ও প্রাচীন যোগাশ্রম তারাপীঠ অবস্থিত। জনশ্রুতি, এই স্থানে সতীর চক্ষুর তারা পতিত হইয়াছিল। কথিত আছে, যে পুরাণ-প্রসিদ্ধ বশিষ্ঠ মুনি এই স্থানে তপস্যা করিয়া সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন। আধুনিক যুগের অন্যতম বিখ্যাত সাধক বাম ক্ষেপ তারাপীঠে অবস্থান করিতেন। তিনিও একজন সিদ্ধ পুরুষ ছিলেন বলিয়া লোকের বিশ্বাস। তারাপীঠের মন্দিরটি নাটোরের মহারাণী ভবানী কর্তৃক নিৰ্ম্মিত। প্রতি বৎসর আশ্বিন মাসে তারাপীঠে একটি মেলা হয়। রামপুর হাট হইতে মোটরবাসযোগে সাঁওতাল পরগণা জেলার সদর শহর দুমকায় যাওয়া যায়। এই পথের দূরত্ব প্রায় ৪০ মাইল । - নলহাটি জংশন—খানা জংশন হইতে ৭০ মাইল দূর। ইহা বীরভূম জেলার একটি বিখ্যাত স্বাস্থ্যনিবাস ও সমৃদ্ধিশালী শহর। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম ও জলবায়ু পশ্চিমের মত সতেজ ও স্বাস্থ্যকর। নলহাটির নিকটবৰ্ত্তী একটি পাহাড়ের ঝরণার জল হজমী গুণের জন্য প্রসিদ্ধ। বহুদূর হইতে লোকে এখানে জল নিতে আসে। এই স্থানে কখনও ম্যালেরিয়া দেখা যায় নাই। অনেকে এখানে বায়ু পরিবর্তনের জন্য আসিয়া থাকেন। এই স্থানে সুলভে খাদ্যাদি ও বাড়ী ভাড়া পাওয়া যায়। শহরবাসের প্রায় সকল প্রকার সুখসুবিধাই এখানে মিলে। যাহারা বায়ু পরিবর্তন ও তীর্থ দৰ্শন এক সঙ্গে করিতে চাহেন, অথচ অধিক দূরে যাইতে ইচ্ছুক নহেন, নলহাটি তাহাদের পক্ষে বিশেষ উপযুক্ত স্থান। নলহাটি একটি পীঠস্থান। এখানে দেবীর ললাট পড়িয়াছিল, দেবীর নাম ললাটেশ্বরী, ভৈরব যোগীশ । শহরের একটি উচচ টিলার উপর ললাটেশ্বরী দেবীর মন্দির অবস্থিত। নলহাটি স্টেশনের নিকটে নলরাজার বাড়ীর ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। এই নলরাজা কে ছিলেন তাহা সঠিক জানা যায় নাই। নলহাটিতে উত্তম কাসার বাসন প্রস্তুত হয়। এই স্থান হইতে একটি শাখা লাইন মুর্শিদাবাদ জেলার আজিমগঞ্জ পর্য্যন্ত গিয়াছে। মুরারই—খানা জংশন হইতে ৮০ মাইল দূর। স্টেশন হইতে তিন মাইল পূবেৰ কনকপুর গ্রামে অপরাজিত নামে এক প্রাচীন পাষাণময়ী দেবীমূৰ্ত্তি বিরাজিত। মুরারই হইতে প্রায় ৯ মাইল পশ্চিমে বীরকিট নামে একটি স্বান আছে। মুর্শিদাবাদ বড়নগরের রাজা উদয়নারায়ণ মুর্শিদকুলী ধার সহিত বিবাদের ফলে বড়নগর ত্যাগ করিয়া এই স্থানে আসিয়া বসতি করেন।