পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR बां९जांग्न अभ* সিংহের উপদ্রব মুরু হয়। সিংহ অনেককে হত্যা করিল, কিন্তু রাজ্যের বড় বড় সাহসী ব্যক্তিরাও সিংহকে হত্যা করিতে পারিলেন না। ইহাতে চারিদিকেই আতঙ্কের স্বষ্টি হইল। কমলার মুখে সিংহের অত্যাচারের কথা শুনিয়া জয়াপীড় তাহাকে কিছু না বলিয়া রাত্রিকালে গৃহ হইতে বহির্গত । হইলেন এবং বহু ধুস্তাধস্তির পর সিংহকে হত্যা করিয়া ফিরিয়া আসিলেন। পরদিন মৃতসিংহের মুখ-বিবর হইতে কাশ্মীররাজ জয়াপীড়ের নামাঙ্কিত একখানি কেয়ুর বাহির হইলে রাজা জয়ন্ত অত্যন্ত , বিস্মিত হইলেন; তখনই চারিদিকে জয়াপীড়ের সন্ধানে লোক বহির্গত হইল। কমলার গৃহে জয়াপীড়ের সন্ধান পাইয়া পৌত্ত্বরাজ জয়ন্ত তাঁহাকে বিশেষ আদরের সহিত নিজের প্রাসাদে আনয়ন করিলেন এবং তাঁহার সহিত স্বীয় সুন্দরী কন্যা কল্যাণদেবীর বিবাহ দিলেন। জয়াপীড় কমলাকেও বিবাহ করিয়া দুই পত্নীর সহিত কাশ্মীরে প্রত্যাগমন করিলেন। ত্রয়োদশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত মহাস্থানে হিন্দু প্রভুত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর প্রারম্ভে মহাস্থান মুসলমানগণের দ্বারা বিজিত হয়। প্রবাদ, শাহ সুলতান হজরত আউলিয়া নামক বাস্ক প্রদেশ (প্রাচীন বাহলীক) বাসী জনৈক মুসলমান সাধু মহাস্থানের রাজা পরশুরামকে যুদ্ধে নিহত করিয়া এই স্থান অধিকার করেন। কথিত আছে, শাহ মুলতান একটি বিরাট মৎস্যের উপর আরোহণ করিয়া করতোয় নদী দিয়া যাতায়াত করিতেন ; তজজন্য লোকে তাহার উপাধি দিয়াছিল “ মাহী-সওয়ার ” বা মৎস্যারোহী। রাজা পরশুরামও তন্ত্রসিদ্ধ ও অন্তত ক্ষমতাশালী ছিলেন। জীয়ৎকুণ্ড নামক কূপের মন্ত্রপূত জলের দ্বারা তিনি মৃত সৈন্যগণকে পুনজর্জীবন দান করিতেন। এই জন্য প্রথম দিকে পীর শাহ সুলতান যুদ্ধে বিজয় লাভ করিতে পারেন নাই। পরে অস্তুত ক্ষমতা বলে তিনি স্বয়ং একটি বাজপক্ষীর আকার ধারণ করিয়া শূন্যদেশ হইতে এক খণ্ড গোমাংস নিক্ষেপের দ্বারা জীয়ৎকুণ্ডের জল অপবিত্র করিয়া দিলে উহার মৃত সঞ্জীবনী শক্তি নষ্ট হইয়া যায় এবং পরবর্তী যুদ্ধে রাজা পরশুরামের সৈন্যক্ষয় হইতে থাকে ও অবশেষে তিনি স্বয়ং পরাস্ত ও নিহত হন। তাহার সুন্দরী ও যুবতী কন্যা শীলাদেবী কঙ্কণাঘাতে পীর শাহ সুলতানকে নিহত করিয়া করতোয় নদীর জলে ডুবিয়া প্রাণত্যাগ করেন। প্রবাদ অনুসারে যে ঘাটে তিনি ডুবিয়া মরেন উহা আজিও শীলদেবীর ঘাট নামে পরিচিত। শীলাদেবীর আত্মবিসজর্জনের করুণ কাহিনী অবলম্বন করিয়া এইচু, এয, do atts were Toto offs: “Lay of Mahasthangarh" afox off of কবিতা রচনা করিয়াছেন। শীলাদেবীর কাহিনীটিকে অনেকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক বলিয়া মনে করেন। তাহারা বলেন, অতি প্রাচীনকাল হইতে মহাস্থানে শিলাদ্বীপ নামক যে তীর্থ আছে উহাই পরবর্তী কালে শিলাদ্বীপের ঘাট বা শীলাদেবীর ঘাট নামে পরিচিত হইয়াছে। মহাস্থানের ভগ্নাবশেষ উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৪৫০০ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে ৩০০০ ফুট; ভূমি হইতে ইহার উচচতা প্রায় ১৫ ফুট। - মহাস্থানের দ্রষ্টব্য বস্তুর মধ্যে প্রাচীন দুর্গ সবৰ্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য। ইহার পূর্ব দিকের প্রাকার এখনও অনেকস্থলে অভগু অবস্থায় আছে। ইহার দক্ষিণ-পূবৰ কোণে ইষ্টকের সোপান শ্রেণী পার হইয়া মহাস্থানগড় বিজয়ী পীর শাহ সুলতানের সমাধি বা দরগাহ দেখিতে পাওয়া যায়। এই দরগাহের নিম্নভাগ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ও উর্দ্ধভাগ ইষ্টকের দ্বারা প্রস্তুত। অনেকে অনুমান করেন যে একটি বৌদ্ধ বা হিন্দুমন্দির ভাঙ্গিয়া ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইহার প্রস্তর নিৰ্ম্মিত চৌকাঠে খৃষ্ট্রর একাদশ শতাব্দীতে প্রচলিত ৰঙ্গক্ষরে “শ্রীনরসিংহদাগস্য ” কথা কয়টি লেখা আছে। নরসিংহ দাস কে ছিলেন তাহ জানা যায় নাই। অনেকে অনুমান করেন যে শিল্পীর নামই নরসিংহ