পূৰ্ব্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ S ०१ যায় যে জয়দিয়ার রাজা মুকুটরায়ের পুত্ৰ শ্ৰীকৃষ্ণরায় ১৫৯৬ শকাব্দে (১৬৭৪ খৃষ্টাব্দে) রাধারমণের জন্য এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাষ্টয়া দেন। জয়দিয়া গোস্বামী-দুর্গাপুর ইষ্টতে ২৮ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত এবং বর্তমানে ইহা যশোহর জেলার অন্তর্গত একটি গগুগ্রাম মাত্র । পোড়াদহ জংশন—কলিকাতা হইতে ১০৩ মাইল দূর । এই স্থানও নদীয়া জেলার একটি বাণিজ্যকেন্দ্র। এখান হইতে পূর্ববঙ্গ রেলপথের একটি শাখা লাইন ৫৪ মাইল দূরবর্তী গোয়ালন্দে একেবারে পদ্মার ধার পর্যান্ত গিয়াছে। কলিকাতা হইতে গোয়ালন্দ পৰ্য্যন্ত সরাসরি গাড়ী যাতায়াত করে। এই শাখাপথে অবস্থিত কালুখালি জংশন ও পাচুরিয়া জংশন হইতে দুইটি শাখা যথাক্রমে ভাটিয়াপাড়া ঘাট ও ফরিদপুর পর্য্যন্ত গিয়াছে। -কলিকাতা হইতে ১১১ মাইল দূর। ইহা নদীয়া জেলার একটি মহকুমা। শহরটি গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত ও একটি বিখ্যাত বাণিজ্যকেন্দ্র । গড়াই নদী কুষ্টিয়ার অনতিদূরে পদ্মা হইতে উঠিয়াছে এবং দক্ষিণে যশোহর ও ফরিদপুর জেলার সীমা দিয়া গিয়া খুলনা জেলায় প্রবেশ করিয়া এষ্ট জেলা এবং বাখরগঞ্জ জেলার সামা রক্ষা করিয়া বঙ্গোপসাগরে পড়িয়াছে। দক্ষিণে ইহা মধুমতী, বলেশ্বর এবং হরিণঘাটা নামে পরিচিত। এককালে গঙ্গর প্রধান ধারা গড়াই নদী দিয়া বহিত । কুষ্টিয়ার প্রায় তুষ্ট মাইল পূৰ্ব্বে গড়াই নদীর উপর একটি বড় সেতু আছে। সম্প্রতি ইত নুতন করিয়া 2 NNNZZAZNANNNAMNÁ - “مجتہ -- গড়াঙ্গ নদীর সেতু, কুষ্টিয়া নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। কুষ্টিয়া শহরে মোহিনী মিল নামক বিখ্যাত কাপড়ের কল অবস্থিত। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে খুষ্ঠান মিশনারীগণ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত একটি গিজ্জা ও তৎসংলগ্ন সমাধিক্ষেত্র এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য। কুষ্টিয়ায় ধান, চাউল, দাইল-কলাই, গুড় ও পাটের বিস্তৃত কারবার আছে। কুষ্টিয়ার নিকটবৰ্ত্তী লাহিনীপাড়া গ্রাম সুবিখ্যাত "বিষাদসিন্ধু” প্রণেতা মরহুম মীর মশারফ হোসেন সাহেবের জন্মস্থান । কুমারখালি - কলিকাতা হইতে ১১৯ মাইল দূর। ইহাও গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ স্থান। ঈস্ট্ ইণ্ডিয়া কোম্পানির আমলে এখানে একটি রেশম কুঠি ছিল। এই সময়ে নিৰ্ম্মিত একটি কারখানা এখনও এখানে আছে। সেই সময়কার সাক্ষীস্বরূপ এখনও একটি ছোট গোরস্থান বর্তমান আছে। কুমারখালি পূর্বে পাবনা
