পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলা দেশ 6 ఫి ইন্দুমুসলমান নির্বিশেষে ভক্তি প্রদর্শন করেন। দক্ষিণবাড়ীর নিকটস্থ শেখ-আড় গ্রামে পীর শাহ পালোয়ানের সমাধি আছে। ইহার সম্বন্ধে নানা অলৌকিক ক্ষমতার কাহিনী প্ৰচলিত আছে। কথিত আছে, ইনি মৃত্যুর পূৰ্ব্বে বলিয়াছিলেন তাহার কবর পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ করিয়া দিতে। কিন্তু উহা ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ বলিয়া সাধারণ নিয়মান্তসারে উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ করিয়া সমাধি দেওয়া হয় । কিন্তু পরদিন পাতে দেখা যায় সমাধি ঘুরিয়া পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ হইয়াছে। কালুথালি জংশন হইতে বহরপুর স্টেশন ৯ মাইল দূর ; স্টেশনের ৩ মাইল পূৰ্ব্বদিকে বাণীবহ নামে একটি পুরাতন ও প্রসিদ্ধ গ্রাম আছে। কথিত আছে সম্রাটু আওরঙ্গজেবের সময়ে সংগ্রামশাহ নামক একজন রাজপুতসেনা-নায়ক পর্তুগীজ প্রভৃতি জলদস্থা দমনের জন্য পদ্মা ও মেঘনার সঙ্গমস্থলে নুতন নাওয়ারা মঙ্গলের কৰ্ত্ত হইয়া আসেন । না ওয়ারা মহলের খরচের জন্য এবং পারিশ্রমিক হিসাবে বহু সম্পত্তি তিনি পাইয়াছিলেন । তিনি এদেশেই বিবাহ করিয়া থাকিয়া যান এবং তাহার বংশীয়গণ উত্তরাধিকারক্রমে নাওয়ারা মহলের কর্তৃত্ব করিতেন । ইহারাষ্ট বাণীবাহর নাওয়ার। চৌধুরী নামে পরিচিত হন । ইহার একটি পুরাতন জমিদার বংশ। রাজা সীতারাম রায় নাওয়ারার বহু সম্পত্তি দখল করিয়া লইয়াছিলেন । কালুখালি জংশন হইতে আড়কান্দী স্টেশন ১১ মাইল দূর | এইখানে চন্দন নদীতীরে বাণীবঙ্গের “নাওয়ারা” চৌধুরীদের নৌকা নিৰ্ম্মাণের প্রধান কারখানা ছিল । কালখালি জংশন হইতে প্রায় ১৬ মাইল দূরবর্তী নলিয়া গ্রাম স্টেশন । নলিয়াতে মাঘীপূর্ণিমার সময়ে একটি মেলা হয়। এই মেলায় লোক-শিল্পের নিদর্শনস্বরূপ কিছু কিছু দ্রব্য বিক্রীত হয় । কালখালি জংশন হইতে মধুখালি জংশন ১০ মাইল দূর ; স্টেশন হইতে ২ মাইল পশ্চিমে কোড়কদি এককালে পণ্ডিত প্রধান গ্রাম ছিল ; এখানকার নৈয়ায়িক রামধন তর্কপঞ্চাননের খাতি পূৰ্ব্ববঙ্গের সর্বত্র বিস্তৃত ছিল। কোড়কদির সান্নালদিগের বাড়ীতে একবার একই রাত্রে ১০১ খানি কালীপূজা হইয়াছিল বলিয়া কথিত ; ইহা হইতে গ্রামটির পুরাতন সমৃদ্ধির কথা জানা যায়। মধুখালি জংশন হইতে পশ্চিমে পায় ৭ মাইল দূরে চন্দন ও গড়াই নদীর সঙ্গমস্থলে কামারখালি ঘাট পর্যান্ত একটি শাখা লাইন গিয়াছে। মধুখালি ও কামারখালিঘাট এই অঞ্চলের বাণিজ্য প্রধান স্থান । কালুখালি জংশন হইতে বোয়ালমারি বাজার স্টেশন ৩১ মাইল ; বারসিয়া নদীর উপর ইহা একটি প্রসিদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র। ইহার আধ মাইল পশ্চিমে ভূষণ থানা । ইহা একটি প্রাচীন ও ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। ভূষণার অধিপতি মুকুন্দরাম বারভূইয়াদগের অন্যতম ছিলেন। সম্রাট আকবরের রাজত্বের শেষদিকে অন্যান্য ভূইয়াদিগের :হিত ইনিও বিদ্রোহী হন। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে নবাব ইসমাইল খী ভূষণাধিপতি কুন্দরামের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করিয়া তাহার সাহায্যে কোচহাজো বা কামরূপ অধিকার রেন । ইহার পুত্র সত্রাজিতের কথা খুলনা বাগেরহাটের পর সত্রাজিৎপুর প্রসঙ্গে বলা