পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ বাংলায় ভ্রমণ মন্দির নূতন করিয়া নিৰ্ম্মাণ করান। তিনি মুকবি, সঙ্গীতজ্ঞ ও প্রতিভাশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি “মানসী ও মৰ্ম্মবাণী" নামক মাসিক পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন এবং “সন্ধ্যাতারা” ও “নুরজাহান” নামক পুস্তক লিখিয়া খ্যাতি অর্জন করেন। মহারাণী ভবানীর বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী দয়ারাম রায়ের বংশধর দিঘাপতিয়ার রাজার নাটোরের এক মাইল উত্তরে দিঘাপতিয়া গ্রামে বাস করেন। কথিত আছে নাটোররাজ রামজীবনের আদেশে তাহার প্রধান ও বিশিষ্ট কৰ্ম্মচারী দয়ারাম রায় বহু সৈন্য লইয়া নবাব মুণাদকুলী খার পক্ষে সীতারাম রায়কে দমন করিবার জন্য প্রেরিত হইয়াছিলেন। সীতারামের পতনের পর তাহার সম্পত্তি নাটোর জমিদারবংশের অধীনে আসে । নাটোররাজ প্রীত হইয় রাজশাহী ও যশোহর অঞ্চলে বহু ভূসম্পত্তি দয়ারাম রায়কে প্রদান করেন। এইরূপে দিঘাপতিয়া জমিদারীর আরম্ভ হয় । ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের ভীষণ ভূমিকম্পে দিঘাপতিয়ার পুরাতন প্রাসাদ ধ্বংস হইয়া গেলে স্বগীয় রাজ প্রমদানাথ রায় বাহাদুর দিঘাপতিয়ায় একটি বিশাল প্রাসাদ ও সুন্দর উদ্যান নিৰ্ম্মাণ করেন । উত্তরবঙ্গে এইরূপ মনোরম উদ্যান অতি অল্পই আছে । अग्नकान्नौब्र मन्निद्र, माटāाग्न নাটোরের চারিদিকে সমগ্র মহকুমা নদী ও খালবিলে পরিপূর্ণ এবং বর্ষাকালে লোকে বড় বড় মাটির গামলায় করিয়া বাড়ী বাড়ী যাতায়াত করে, সান্তাহার জংশন--কলিকাতা হইতে ১৭৪ মাইল দূর । সান্তাহারের পুরাতন নাম সুলতানগঞ্জ । ইহা বগুড়া জেলার একটি নগণ্য পল্লী ছিল, কিন্তু রেলওয়ের কল্যাণে এখন একটি ছোটখাট শহরে পরিণত হইয়াছে। ইঙ্গ পাটের কারবারের একটি