পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ .و هد -حح عجمیعتحتیحی টাকার একখানি প্রাচীন ডিক্ৰী এখনও রক্ষিত আছে। রাজীবলোচন প্রতিষ্ঠিত দ্বাদশ শিব মন্দির এ অঞ্চলে প্রসিদ্ধ। এই মন্দিরের ইট গুলিতে ১, ২, ৩ বা ১পদ্ম, ১ঘট, ১ তরবারি ইত্যাদি চিহ্নিত আছে; মন্দির নিৰ্ম্মাণের সময়ে এই সকল চিহ্নের সাহায্যে অনভিজ্ঞ মজুর বিশেষ বিশেষ স্থানের ইট সহজেই স্থপতির নিকট পৌছাইয়া দিত। বেলআমলায় প্রাপ্ত একটি চণ্ডীমূৰ্ত্তি, একটি স্বৰ্য্যমূৰ্ত্তি, একটি মুন্দর বাসুদেবমূৰ্ত্তি ও একটি বুদ্ধমূৰ্ত্তি-খোদিত চতুষ্কোণ পাথর রাজশাহীতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। চণ্ডীমূৰ্ত্তির তলায় লেখা আছে “রাজ্ঞীশ্ৰীগীতা ললিতা।” দিনাজপুর জেলার করতোয় হইতে উৎপন্ন যমুনা নামে একটি মাঝারি নদী বগুড় জেলার বেলআমলার কিছু দক্ষিণে আসিয়া দুই ভাগ হইয়াছে। পশ্চিম শাখাটি যমুনা নামেই দক্ষিণে অগ্রসর হইয়া রাজশালী জেলায় প্রবেশ করিয়াছে। পূৰ্ব্ব শাখাটি “কাটাযমুনা” নামে ৯ মাইল বহিয়৷ আক্কেলপুরের নিকট তুলসী গঙ্গা নদীর সহিত মিলিত হইয়াছে। কথিত আছে এই শাখাটি বেলআমলার রাজীবলোচন মণ্ডল মহাশয় কাটাইয়া দিয়াছিলেন । বেলআমলার নিকটেই খঞ্জনপুর গ্রামে খাসমহালের দপ্তর অবস্থিত। বেলআমলার অনতিদূরে বগুড়ার সীমান্তে জয়পুর হাট স্টেশন হইতে ছয় মাইল পশ্চিমে দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত পত্নীতলা থানার মুকুন্দপুর গ্রামে ক্ষেীণী-নায়ক ভীমের স্মৃতি বিজড়িত (সান্তাহার দ্রষ্টব্য) হরগৌরী মণ্ডপ ও “ভীমের পাষ্ঠী” নামে পরিচিত প্রাচীন গরুড় স্তম্ভ বা বাদাল স্তম্ভ বিদ্যমান। হরগৌরী মণ্ডপটি অতি পুরাতন ইট পাথর দিয়া তৈয়ারী একটি উচু ঢিবি এবং ইহা মঙ্গলবাড়ী হাটের দক্ষিণ পাশ্বে অবস্থিত। এই ঢিবির উপর চারিটি মন্দির আছে। মন্দিরগুলির মধ্যে হরগৌরী, সিংহবাহিনী, জয়তুর্গার প্রস্তর মূৰ্ত্তি ও শিবের মুখাঙ্কিত শিবলিঙ্গ আছেন। হরগৌরী মন্দিরের নিকট “অমৃত কুণ্ড” ও “কোদাল ধোয়া” নামে দুইটি পুকুর আছে। কালক্রমে মহারাজ ভীমের কীৰ্ত্তি কলাপ ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। গ্রায় আড়াই শত বৎসর পূর্বে বীরেশ্বর ব্রহ্মচারী নামক একজন সন্ন্যাসী ভগ্নস্তৃপ হইতে দেবমূৰ্ত্তি গুলির উদ্ধার সাধন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। গরুড়স্তম্ভ বা বাদালস্তম্ভ হরগৌরী মন্দিরের দক্ষিণে অবস্থিত। ইহার কতকাংশ বজ্রাঘাতে বিদীর্ণ হইয়া গিয়াছে; অবশিষ্ট অংশে সুপ্রসিদ্ধ পালরাজগণের মন্ত্রী বংশের প্রশস্তি আটাশটি সংস্কৃত শ্লোকে উৎকীর্ণ আছে। প্রায় হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে নারায়ণ পালের রাজত্ব কালে মন্ত্রী ভট্টগুরব.মিশ্র এই স্তম্ভটি প্রতিষ্ঠা করেন । এই স্থান ব্রাহ্মণ মন্ত্রী বংশের যজ্ঞভূমি ছিল এবং পালরাজগণ এই স্থানে আসিয়া শান্তিজল লইতেন । গুরব মিশ্রের স্তম্ভ লিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে মহারাজ ধৰ্ম্মপালের পুত্র মহারাজ দেবপাল বিন্ধ্যপৰ্ব্বত হইতে হিমালয় পৰ্য্যন্ত এবং পূর্ব সমুদ্র হইতে পশ্চিম সমুদ্র পর্য্যন্ত সমস্ত ভূভাগ অধিকার করিয়াছিলেন। ইহা হইতে আরও অবগত হওয়া যায় ষে দেবপাল মন্ত্রী কেদার মিশ্রের সাহায্যে ওড়িয়া ও হুনদের দমন ও গুর্জরনাথ ও দ্রবিড়েশ্বরের দর্পচূৰ্ণ করিয়াছিলেন। বিন্ধ্যপৰ্ব্বত গুর্জর রাজ্যের দক্ষিণ পূৰ্ব্ব সীমায় ও দ্রবিড় বা রাষ্ট্রকুট রাজ্যের উত্তর পূর্ব সীমায় অবস্থিত। পণ্ডিতেরা অনুমান করেন